ইউক্রেন যুদ্ধে বাড়ল অশান্তি। কিয়েভ দখলের চেষ্টা থেকে অনেক দিন আগেই মুখ ফিরিয়েছে রাশিয়া। এখন তাদের নতুন লক্ষ্য, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেন দখল করা। রাশিয়ার এই রণকৌশল বদলের জেরে, ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি বৈঠক কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। অবশ্য রাশিয়ার রণকৌশল বদলেও বিশেষ কাজ এখনও পর্যন্ত দেয়নি। রাশিয়ার দক্ষিণ এবং পূর্বে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা ইউক্রেনের বাহিনী লাগাতার প্রতিরোধ করছে। ইউক্রেন সেনা সূত্রে খবর, রাশিয়া এখন তাদের শিল্প শহর ডোনবাস দখল করতে চাইছে। কিন্তু, ইউক্রেনের বাহিনীর লাগাতার প্রতিরোধের জেরে রাশিয়ার সেনাবাহিনী বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের পরিকল্পনামতো আক্রমণের গতি আর নেই। আক্রমণের ঝাঁঝ অনেক কমে গেছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের এক শীর্ষস্তরের আধিকারিক। ওই প্রতিরক্ষা আধিকারিক আবার এই যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন- কিয়েভে রুশ মিসাইল হামলা, নিহত সাংবাদিক
শুক্রবারের মতো শনিবারও ইউক্রেনের কিছু শহরে গোলা আছড়ে পড়ার শব্দ শোনা গিয়েছে। বেজেছে সাইরেন। যার অর্থ, ইউক্রেনের আকাশসীমায় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান হানা দিয়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর লাগাতার হামলায় মারিউপোল শহর এখন কার্যত ধ্বংসাবশেষ। সেখানকার মেয়র জানিয়েছেন, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে মারিউপোলের সাধারণ নাগরিকরা ইস্পাত কারখানার ভিতরে আশ্রয় নিয়েছেন। কারখানা ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। অবশ্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ওই ইস্পাত কারখানার মধ্যে শুধু সাধারণ নাগরিকরাই নেই। সেখানে সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গেই লুকিয়ে আছে ইউক্রেনের সশস্ত্র সেনাবাহিনী। বারবার বলার পরও ওই কারখানা থেকে কেউ বেরিয়ে আত্মসমর্পণ করেননি। আর, সেই কারণেই ইস্পাত কারখানা সশস্ত্র রুশ সেনা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যা দেখে মনে হবে, এটা কোনও ইস্পাত কারখানা নয়। যেন আস্ত দুর্গ।
এর মধ্যেই মারিউপোলের ইস্পাত কারখানার ভিতরে আটকে থাকা সাধারণ নাগরিক এবং ইউক্রেন সেনাদের আত্মীয়রা বিভিন্ন দেশ থেকে মুখ খুলেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর তাঁরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁরা আটকে থাকা সাধারণ নাগরিক এবং ইউক্রেন সেনাদের নিরাপদে যেতে দেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে খোলাখুলি আহ্বান জানিয়েছেন। ওই আটকে থাকা সেনা এবং সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে মুক্তির জন্য পুতিনের কাছে আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘও।
Read story in English