মিথ্যা কথা বলছে রাশিয়া। বাকি বিশ্বের কাছে দাবি করছে যে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে। কিন্তু, সবটাই আসলে মিথ্যা। উলটে ইউক্রেন সীমান্তে সাত হাজার জওয়ান আরও মোতায়েন করেছে রাশিয়ার সদর দফতর ক্রেমলিন।
এর আগে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্বজুড়ে আশার সঞ্চার হয়েছিল। আমেরিকা এবং ন্যাটো জোট কূটনৈতিকস্তরে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর জন্য রাশিয়াকে চাপ দিচ্ছে। তাঁরা রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে আশার আলো দেখেছিলেন।
কিন্তু, বর্তমান সময়টা প্রযুক্তির যুগ। কে ঠিক কী করছে, প্রযুক্তির সাহায্যে তা জলের মতোই পরিষ্কার হয়ে যায় বাকিদের কাছে। তাই আমেরিকা এবং ন্যাটোর কর্তারা বারবার বলতে শুরু করেন, রাশিয়ার দাবিমতো সেনা প্রত্যাহারের কোনও চিহ্ন তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না।
পালটা, রাশিয়া ভিডিও প্রকাশ করে। সেই ভিডিওয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের প্রস্তুতি নেওয়ার ছবি এবং নড়াচড়ার ছবি দেখা যায়। রাশিয়া দাবি করে, তারা আসলে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। কিন্তু, সামরিক মহড়ার একটা সময়সীমা থাকে।
গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে দেড় লক্ষেরও বেশি সেনা মোতায়েন রাখা হয় না। তাঁদের কাছে যুদ্ধ চালানোর যাবতীয় সরঞ্জামও রেখে দেওয়া হয় না। এসব দেখেই আমেরিকা এবং ন্যাটো জোট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউক্রেন আক্রান্ত হলে, তা রুখবে আমেরিকা এবং ন্যাটোও। যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেহারা নেবে বলেই স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের মতো পঞ্জাবেও এবার ভূমিপুত্রের স্লোগানে আতঙ্কিত বিহারিরা
এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হননি রাশিয়ার প্রতিনিধি। কিন্তু, তাতে অবশ্য বৈঠক পিছোয়নি। ব্রাসেলসের এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিও। এই বৈঠকে স্বভাবতই উঠবে রাশিয়ার প্রসঙ্গ।
তার আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব ওয়ালেস রাশিয়ার মনোভাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'রাশিয়া যা বলছে, আমরা তার উলটো ছবিই দেখছি। গত ৪৮ ঘণ্টায় ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া অতিরিক্ত সাত হাজার জওয়ান মোতায়েন করেছে। আমরা ভীষণ সিরিয়াস। আঘাত যেমনই আসুক, আমরা তার মোকাবিলা করব।'
Read story in English