অবশেষে নেপালে ভেঙে পড়া বিমানের খোঁজ পেল সেনাবাহিনী। নেপালের মুস্তাং জেলার থসাং ২ এলাকায় ভেঙে পড়া বিমানটির হদিশ মিলেছে। রবিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানের খোঁজে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালে ভেঙে পড়া বিমানের হদিশ মিলতেই তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
গতকাল ১৯ যাত্রী ও ৩ ক্রু মেম্বার নিয়ে ভেঙে পড়ে নেপালের তারা এয়ারলাইন্সের বিমানটি। যাত্রীদের মধ্যে চারজন ভারতীয় ছিলেন। নেপাল সেনাবাহিনীর কপ্টার ভেঙে পড়া ওই বিমানটির খোঁজ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটলেও আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি। জানা গিয়েছে, নেপাল সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছে। রবিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি। সোমবার সকাল পর্যন্ত বিমানটির খোঁজে অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল।
তবে সোমবার সকাল থেকে চালানো অভিযানে বিমানটি কোন জায়গায় ভেঙে পড়েছে সেটি চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপাল সেনিবাহিনী মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল। তিনি বলেন, “খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল। উদ্ধারকাজে বাধা এসেছে। যদিও বিমানটিকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।''
আরও পড়ুন- পঞ্জাবে খুন গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালা, প্রশ্নের মুখ আপ সরকারের নিরাপত্তা
জানা গিয়েছে, রবিবার নেপালের তারা এয়ারলাইন্সের বিমানটি পোখরা থেকে সকাল ৯.৫৫ মিনিটে উড়েছিল। সকাল ১০.০৭ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করা গিয়েছিল। সেই সময় বিমানটি ১২ হাজার ৮২৫ ফুটের উপর দিয়ে উড়ছিল। বিমানটিতে চারজন ভারতীয় ও দুই জার্মানির নাগরিক-সহ ৬ বিদেশি ছিলেন। বিমানে থাকা ভারতীয়দের নাম বৈভবী বন্দেকর, অশোক কুমার ত্রিপাঠি, ধানুশ ত্রিপাঠী এবং ঋত্বিকা ত্রিপাঠী।
বিমানে থাকা মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা অশোক এবং বৈভাবীর ডিভোর্স হয়েছিল বলে জানিয়েছে থানে পুলিশ। কিন্তু তাঁরা তাঁদের দুই সন্তানের সঙ্গে নেপালের মুক্তিধাম মন্দির দেখতে গিয়েছিলেন। চারজন ভারতীয় ছাড়াও ওই বিমানে দুই জার্মান, ১৩ নেপালি এবং পাইলট প্রভাকর ঘিমিরে সহ তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন।
Read story in English