/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/nepal-fuel-crisis.jpg)
তেলের সংকট, অগ্নিমূল্য বাজার। সমস্যায় নেপালের আম আদমি।
শ্রীলঙ্কার পরিণতি হতে চলেছে নেপালের? আপাত সেই আশঙ্কাই গাঢ় হচ্ছে। ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট দেখা দিয়েছে। আকাশ ছুঁয়েছে জ্বালানির দাম। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানির খরচ কমাতে সরকারি দফতরগুলি দু'দিনের ছুটি ঘোষণা করার কতা ভাবছে নেপাল।
সরকারি সূত্রে খবর, নেপালের সেন্ট্রাল ব্য়াঙ্ক ও নেপাল অয়েল কর্পোরেশন সরকারকে দুই দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছে।
একদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এক মাসের বেশি সময় ধরে। ফলে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। এছাড়া তেল উৎপাদনকারী অন্যান্য দেশ, যেমন ইরান ও ভেনিজুয়েলা থেকেও পেট্রোলিয়াম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
অন্যদিকে, পর্যটন-নির্ভর নেপাল করোনা মহামারীর জেরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ স্থগিত ছিল। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে মন্দা দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা সংকে ভুগছে নেপাল। ফলে ঘোরাল পরিস্থিতিতে ডলারের বদলে তেল কিনতে ব্যর্থ নেপাল সরকার। ভুগছে সেদেশের মানুষ।
এর আগে ওয়েল কর্পোরেশন ভর্তুকি দিয়ে তেল বিক্রি করার জেরেই সঙ্কট দেখা দিয়েচে বলে মনে করছে সরকার।
সরকারের মুখপাত্র জ্ঞানেন্দ্র বাহাদুর কারকি গণমাধ্যমকে বলেছেন, নেপালের সেন্ট্রাল ব্য়াঙ্ক ও নেপাল অয়েল কর্পোরেশনের তরফে সরকারকে দেওয়া পরামর্শের উপর এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রস্তাব বিবেচনাধীন।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবেলা করার জন্য, নেপাল সরকার বিদেশে বসবাসরত নেপালি নাগরিকদের দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ডলারে অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে।
নেপাল তার ক্রম হ্রাসমান রিজার্ভ বজায় রাখতে দামি গাড়ি, সোনা এবং অন্যান্য বিলাসবহুল পণ্যের আমদানিও কঠোর করেছে। কার্কি বলেন, সরকার আমদানিকৃত যানবাহন এবং এই জাতীয় অন্যান্য পণ্যের উপর শুল্ক কমাতে পারে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে।
Read in English