নেপাল সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। ক্ষমতা দখল ঘিরে ওলি ও প্রচন্ডের বিবাদ ক্রমশই চড়ছিল। তার মধ্যেই ক্যাবিনেটের জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভাঙার প্রস্তাব দেন ওলি। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জানান, তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। অতএব তা ভেঙে দেওয়া হোক। স্থির হয়েছে সেই প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির কাছে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট্রে কাছে পৌঁছেও গিয়েছেন তিনি।
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। প্রচন্ড গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওলির গোষ্ঠীর বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই পরণতি বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন এনসিপির সিনিয়র নেতা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল এই পদক্ষেপকে 'অসাংবিধানিক' বলে অভিহিত করেছেন।
করোনাভাইরাস, দেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু ইস্যুতে নেপালের রাজনীতিতে চড়াই-উতরাই চলছে। সরকার ব্যর্থ হয়েছে এই বিষয়গুলি সামাল দিতে, এই অভিযোগ তুলে ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিল বিরোধীরা। এছাড়া, ভারতের ভূখণ্ড দাবি ঘিরেও প্রতিবেশী দেশটির অভ্যন্তরীণ বিবাদ ছিল। কাঠগড়ায় তোলা হয় ওলিকে। সূত্রের খবর, তার উপর দলের অন্দরেও ওলি-র ভূমিকা নিয়ে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। শেষমেশ সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব তুললেন ওলি।
নেপাল সংবিধান বিষেশজ্ঞদের মতে, সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অসাংবিধানিক। নেপাল সংবিধান অনুসারে সংখ্য়াগরিষ্ঠ সরকার প্রদানমন্ত্রী ভেঙে দিতে পারে না।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে নেপালের বিরোধী দল নেপাল কংগ্রেস।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন