Advertisment

কব্জায় আফগান-মুলুক, কয়েক সপ্তাহেই সরকার গড়বে তালিবান

মুখে হিংসা বন্ধের কথা বললেও স্বভাবে বদল নেই তালিবানিদের৷ নির্বিচারে হত্যা, অত্যাচার চলছে আফগান-মুলুকে৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Afghan blast At least 100 dead wounded many

আফগানিস্তানের পতাকা

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তানে তালিবানের সরকার তৈরি হবে৷ শনিবার তালিবানের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তালিবানরা আফগানিস্তানের জন্য একটি নতুন শাসন পরিকাঠামো তৈরি করবে৷ ওই তালিবান নেতা আরও বলেন, ‘‘আইনি, ধর্মীয় এবং বিদেশ-নীতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবে তালিবান৷’’ গোটা আফগানিস্তান দখলে নেওয়ার পর থেকে তালিবান নেতারা তাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ যদিও তালিবান সর্বোচ্চ নেতৃত্বের এই ভাবনায় কান দিচ্ছে না যোদ্ধারা৷ এখনও রাজধানী-কাবুল-সহ দশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তালিবানি অত্যাচার চলছে৷

Advertisment

আরও পড়ুন- ১১ বছর নাগপুরে ঘাপটি মেরেছিলেন, সেই নূর মহম্মদই কি না তালিবান জঙ্গি!

এদিকে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে৷ মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি যে আফগানরা মার্কিন সেনাকে সাহায্য করেছেন তাঁদেরও উদ্ধার করছে মার্কিন প্রশাসন৷ তবে বিমানে এই উদ্ধারকাজ রীতিমতো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে করতে হচ্ছে বলে শুক্রবারই জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ গত কুড়ি বছর ধরে আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা৷ আফগান সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তালিবান বাহিনীকে কব্জায় রেখেছিল ন্যাটোবাহিনী৷ তবে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়তেই ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তালিবান৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গোটা আফগান মুলুক দখল করে নেয় তালিবান জঙ্গিরা৷

আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের উদ্ধারে কোনও বাধা এলে আমেরিকা তার যোগ্য জবাব দিতে তৈরি, ইতিমধ্যেই তালিবানকে এই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এপ্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমেরিকার সেনাবাহিনীর উপর কোনও হামলা হলে জোরালো জবাব দেওয়া হবে৷ কাবুল বিমানবন্দরে বা তার আশেপাশে আইএসআইএস-এর গোষ্ঠীর হুমকির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে আমেরিকা৷’’

অন্যদিকে, আফগানিস্তান ইস্যুতে আবারও আমেরিকার কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া৷ প্রেসিডেন্ট পুতিন মনে করেন, দ্রুত তালিবান দখলে গোটা আফগানিস্তান চলে যাওয়াটা মার্কিন প্রশাসনের বড়সড় ব্যর্থতা৷ পুতিন এপ্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘‘জাতিগত, ধর্মীয়, সামাজিক কোনও দিক বিবেচনা না করে অন্যদের উপর নিজেদের ইচ্ছার প্রয়োগ করা হয়েছিল৷ অন্য একটি দেশের ঐতিহ্যকে গুরুত্ব না দিয়ে বাইরের মডেলের ভিত্তিতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল৷’’

Read full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Taliban Afghanistan
Advertisment