করোনাতঙ্কে কড়াকড়ি নিউজিল্যান্ডে। খোদ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ড আর্ডের্ন নিজেই করোনা আক্রান্তে সংস্পর্শে আসায় ঝুঁকি না নিয়ে নিভৃতবাসে চলে গিয়েছেন। এই অবস্থায় দেশের সীমান্ত কড়াকড়ি নিয়ে দেশের সংবাদপত্রে লিখলেন আফগানিস্তানে আটকে পড়া অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিক।
সাংবাদিক শার্লট বেলিস নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডে একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, তিনি আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরতে অপারগ। কারণ জেসিন্ডা সরকার তাঁর দেশে ফেরার অনুমতি দেয়নি। তাই কার্যত আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন শার্লট। ফিরতে পারছেন না নিউজিল্যান্ডে।
নিজের দুর্দশার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে শার্লট লিখেছেন, "যখন তালিবানরা আপনাকে অন্তঃসত্ত্বা, অবিবাহিত মহিলা এবং স্বর্গের প্রস্তাব দেয়, বুঝে নিন আপনার পরিস্থিতি ঘেঁটে গিয়েছে।" শার্লট তাঁর বেলজিয়ান প্রেমিকের সঙ্গে আটকে পড়েছে আফগানিস্তানে।
জানা গিয়েছে, শার্লটের দেশে ফেরার আবেদন বাতিল হয়েছে কারণ সরকারের ১৪ দিনের বিদেশে থাকার আবেদনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। অভিবাসন এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকরা তাঁকে তাই জানিয়েছেন। তাঁরা এটা শার্লটকে বলেছেন, ১৪ দিনের মধ্যে আবার আবেদন করতে।
আরও পড়ুন আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও আত্মতুষ্টি এখনই নয়: WHO
নিউজিল্যান্ডের আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার অধিকর্তা ক্রিস বানি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, শার্লট কোনও তথ্য দেননি যে তিনি তাঁর বিমান যাত্রার দিন এগিয়ে আনবেন কি না। কিন্ত শার্লটের দাবি, কাবুল থেকে বিমানের অপ্রতুলতার কারণেই তিনি দেশে ফেরার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত গত ২০ মার্চ, ২০২০ থেকে বিদেশিদের জন্য বন্ধ। জানুয়ারির মাঝে সীমান্ত ফের খোলার কথা থাকলেও ধাপে ধাপে করা হবে বলে তা পিছিয়ে গিয়েছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পড়শি দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রন হানার জেরে নিউজিল্যান্ড সতর্ক। রবিবারই নিভৃতবাসে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি থাকবেন কারণ রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি। রবিবারই এই দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৩ জন।