দেশকে সহস্র সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে এটাই বোধহয় করণীয়। দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মাত্র একজন, তারপরেও সকলের সুরক্ষার্থে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।
মঙ্গলবার সেই সংক্রমিত ব্যক্তির হদিশ মেলার পরেই এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডের সেই বাসিন্দাকে সাত দিনের জন্য নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, সমগ্র নিউজিল্যান্ড বুধবার থেকে তিন দিনের জন্য লকডাউনেের আওতায় থাকবে। অকল্যান্ড এবং করোম্যান্ডেল উপকূলীয় শহর যেখানে সংক্রমিত ব্যক্তিটিও কিছু সময়ের জন্য ছিলেন সেখানে থাকবে সাত দিনের জন্য লকডাউন।
লকডাউনের কঠোর বিধি আরোপ করে, স্কুল কলেজ অফিস কার্যালয় এবং সমস্ত ব্যবসা বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবায় থাকছে না কোনও বিধিনিষেধ। দেশের অবস্থা নির্দেশ করে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব যাতে এই পরিস্থিতি থেকে সুস্থভাবে বেড়িয়ে আসা যায় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ সমুলে বিনাশ করা যায় সেই কারণে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দিনদিন সংক্রমণ বাড়ার থেকে শুরুতেই এর গতিরোধ করা প্রয়োজন।
সংক্রমিত ব্যক্তি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হলেও, এখনও নিশ্চিত করা হয়নি! ভাইরাসের সর্বশেষ কেসটি ফেব্রুয়ারি মাসে রিপোর্ট করার পর এই কয়েক মাস কোনও রকম সংক্রমণ হয়নি বলেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন ‘ক্ষমার’ পথে হেঁটে মহিলাদেরও সরকারে শামিল হওয়ার আহ্বান তালিবানদের
বিশ্বজুড়ে, করোনা সংক্রমণের প্রথম থেকেই নিউজিল্যান্ডের কঠোর এবং কৌশল নীতি অনেকাংশেই দেশের মানুষকে ভাইরাসের প্রভাব থেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। সরকারের নির্দেশ এবং নাগরিকদের সহায়তা সেখানে বাড়তে দেয়নি সংক্রমণ। যদিও আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা ছিল এবং কিছু আজও বহাল রয়েছে। করোনায় দেশের সম্পূর্ণ জনসংখ্যার ২৫০০ জনের সংক্রমণ এবং সর্ব মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন