Kabul Update: মুখে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও, কার্যক্ষেত্রে অন্য রূপ তালিবানের। বৃহস্পতিবার তালিবান বাহিনীর হাতে প্রহৃত স্থানীয় টোলো নিউজের সাংবাদিক জিয়ার ইয়াদ খান। রীতিমতো বন্দুকের নলের সামনে তাঁকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে তালিবান বাহিনী। ট্যুইট করে এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘মোবাইল এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছে তালিবানরা।‘ তবে এই ঘটনার পর গুজব রটেছিল তালিবানের হাতে খুন হয়েছেন সেই সাংবাদিক। কিন্তু সেই গুজব উড়িয়ে ইয়াদ খান লেখেন, ‘কাবুলের নিউ সিটি এলাকায় খবর করার সময় আমি তালিবান বাহিনীর নির্যাতনের শিকার। আমার ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোনে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু মানুষ গুজব রটিয়েছিল আমি মারা গিয়েছি। সেটা সর্বৈব মিথ্যা। একটি এসইউভি গাড়ি থেকে নেমে তালিবানরা গান পয়েন্টে আমাকে মারধর করেছে।‘
সেই ট্যুইটে আরও উল্লেখ, ‘আমি জানি না কেন আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হল। এই ঘটনার কথা তালিবান নেতৃত্বকে বলা হয়েছে। এখনও অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়নি। এভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত নেমে আসছে।‘ এর আগে জার্মান এক সংবাদমাধ্যমের কর্মীর পরিজনকে গুলি করে হত্যা করেছে তালিবানরা। আপাতত তালিবানের কাছে ওয়ান্টেড সেই সাংবাদিক জার্মানি। কিন্তু তাঁর খোঁজে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে এই হত্যালীলা চালিয়েছে তারা। সেই পরিবারের অপর এক সদস্য গুরুতর আহত।
এদিকে, ইউএস এবং তার সহযোগী দেশগুলোর কাছে সতর্কবার্তা ছিল। সেই মোতাবেক সম্ভাব্য জঙ্গি হামলায় প্রাণহানি এড়াতে মার্কিন নাগরিক-সহ অন্য দেশের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যার পর সেই সম্ভাবনা সত্যি হল। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণে নিহত ১৩, আহত একাধিক। জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। তালিবান বাহিনীর সদস্যরা জখম হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে।
দেশ ছাড়ার হিড়িকে যখন দলে দলে আফগানরা কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিলেন, তখন ঘটেছে এই বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের জেরে মার্কিন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা আহত হয়েছে। পেন্টাগনের একটি সূত্রে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে একটি সংবাদ মাধ্যম। তবে বিস্ফোরণের ফলে ব্রিটিশ নাগরিক কিংবা উদ্ধারকারী বাহিনীর এখনও হতাহতের খবর মেলেনি। আফগানিস্তানে অস্থিরতার সুযোগে সে দেশে বিশেষ করে জনবহুল কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালাতে পারে আইএস জঙ্গিরা। এমন সতর্কতা আগে থেকেই ছিল ইউএস এবং ইউকে প্রশাসনের কাছে। সেই সতর্কতা অবলম্বনে এই দুই দেশের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে আবেদন করা হয়েছিল। এমনটাই স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন