আফগানিস্তানজুড়ে তালিবানদের দাপাদাপি। সামনে আসছে তালিবানদের একের পর এক নারকীয় ঘটনা। তালিবানদের এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে পাকিস্তান। অভিযোগ করেছেন ভিন দেশে পলাতক আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। কিন্তু, ঘানির এই দাবি কার্যত নস্যাৎ করল আমেরিকা। পেন্টাগনের তরফে বলে হয়েছে যে, পাকিস্তানিরা তালিবানদের কাবুল দখলে সরাসরি সহায়তা করেছে এমন কোনও নিশ্চত প্রমাণ মেলেনি।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কারবি বলেছেন, "তালিবানদের সহায়তায় পাকিস্তানিদের প্রত্যক্ষ সহায়তা রয়েছে এমন কোনও নিশ্চিত প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।" পলাতক আফগান প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন যে, তালিবানদের কাবুল দখলের পিছনে পাকিস্তানের মদত রয়েছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার পাকিস্তানি তালিবানদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে।
কারবির সংযোজন, "আমেরিকা আগেও বলেছে যে, আফগান সীমান্তে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানেরও আগ্রহ রয়েছে। কারণ তালিবানদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের স্বীকার পাকিস্তানও। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন শান্তি কার্যকর করার চেষ্টা করা উচিত। একে অপরকে দোষারোপ না করে সহায়তা করা দরকার। "
এরই মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসের এক গুরুত্বপূর্ণ কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইনের একটি সংশোধনী গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের কাছে একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এই সংশোধনী পেশ করেন রিপাবলিকান সদস্য লিজ চেনে। এই কংগ্রেস সদস্য মনে করেন, পাকিস্তান ইন্টার সার্ভিসের অনেকেই চরমপন্থী। তাই তালিবান আক্রমণের কথা মাথায় রেকে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্বপূর্ণ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন