চিনের তেংজিয়ান পর্বতে বিমান দুর্ঘটনায় কোনও জীবিত যাত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সম্ভবত ১৩২ জন যাত্রীই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এক দশকে চিনে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় গতকাল, সোমবার ১৩২ জন যাত্রীই নিহত হয়েছেন বলে খবর। চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানের দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর সিসিটিভি চ্যানেলের তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়ের উপর ঘন জঙ্গলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানের কোনও যাত্রী, বিমানকর্মীদের দেহ পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তেং প্রদেশের ইউঝাউ শহরের কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাছে বিমানটি। ফ্লাইট এমইউ৭৩৫ বিমানটি চিনের কুনমিং থেকে গুয়াংঝৌয়ের দিকে যাচ্ছিল।
ইউঝাউয়ের কাছে ১২৩ জন যাত্রী এবং ৯ জন কর্মী বিশিষ্ট এই বিমানটি সংযোগ হারায়। চিনের অসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং বিমান সংস্থা জানিয়েছে, মাঝ আকাশে এক মিনিটের মধ্যে ৩১ হাজার ফুট নীচে নেমে যায় বিমানটি। তার পর দ্রুতগতিতে আছড়ে পড়ে পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে। তাতেই আগুন লেগে যায় জঙ্গলে। জিনহুয়া নিউজ এজেন্সির মতে, এমন বিমান দুর্ঘটনা কস্মিন কালে ঘটেনি। কীভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং।
আরও পড়ুন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ১৩৩ যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান
এদিকে, প্রিয়জনদের হারিয়ে শোকস্তব্ধ বিমান যাত্রীদের পরিবার-আত্মীয় স্বজনরা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন। সেই টুইটটি আবার রিটুইট করেন ভারতের চিনের রাষ্ট্রদূত উই ওয়েডাং। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পর এটাই প্রথম এত বড়সড় বিমান দুর্ঘটনা হল চিনে।