এই পরিবেশে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নয়: ইমরান খান

এর আগে পাকিস্তানের অর্থনীতিক সমন্বয় কমিটি চাহিদা মেনে ভারত থেকে তুলো-চিনি আমদানির সুপারিশ পাঠিয়েছিল।

এর আগে পাকিস্তানের অর্থনীতিক সমন্বয় কমিটি চাহিদা মেনে ভারত থেকে তুলো-চিনি আমদানির সুপারিশ পাঠিয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে আমেরিকা, তালিবান ইস্যুতে চরম আক্রমণ ইমরানের

ইমরান খান। ফাইল ছবি

এখনই ভারতের সঙ্গে কোনওপ্রকার বানিজ্যিক সম্পর্ক চালু করতে নারাজ পাকিস্তান। দ্বিপাক্ষিকস্তরে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খান সরকার। সম্প্রতি পাক মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত থেকে তুলো আর চিনি আমদানি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তারপরেই কেন্দ্রীয় বানিজ্য মন্ত্রীকে বিকল্প আমদানি সুত্র খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী খান। পাক সংবাদমাধ্যম দা ডন সুত্রে এমনটাই খবর।

Advertisment

এর আগে পাকিস্তানের অর্থনীতিক সমন্বয় কমিটি চাহিদা মেনে ভারত থেকে তুলো-চিনি আমদানির সুপারিশ পাঠিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত সিলমোহরের অপেক্ষায় ছিল সেই সুপারিশ।সেতাই শুক্রবার খারিজ করেছে পাক মন্ত্রিসভা।

এদিকে, গত মাসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য এগিয়ে আসলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। এর আগে দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য ভারতকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সুরেই কথা বললেন পাক সেনা প্রধান। তিনি জানান অতীত ভুলে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনা যায়।

দুই দেশের উন্নতি এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সংহতির জন্যও যা খুব জরুরি হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। পাক সেনা প্রধান অনুরোধ জানান যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে এবং কাশ্মীর নিয়ে ‘অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করতে। পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ইসলামাবাদ সিকিউরিটি ডায়লগ-এ কাশ্মীরে “অনুকূল” পরিস্থিতি বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা উল্লেখ করেননি, তবে তা উল্লেখযোগ্য ছিল ভারতের প্রেক্ষিতে।

Advertisment

পাক সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের মূল বিষয় কাশ্মীর। শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাশ্মীর বিবাদের সমাধান না হলে উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সংশয় থেকে যাবে। আমরা মনে করছি অতীতকে ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে। প্রতিবেশি হিসেবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে অতীত ভুলে।’’

যদিও গত মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওই একই অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে চলেছে পাকিস্তান। তবে শান্তি ফেরানোর বিষয় প্রথম পদক্ষেপ ভারতকেই নিতে হবে। তবে শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য কথা বললেও সে দেশের সেনা সেই প্রচেষ্টা বানচাল করেছে নয়াদিল্লির তরফে অতীতে এমনটা জানান হয়েছিল।

Islamabad Import Indo-Pak Trade Relation New Delhi imran khan