উত্তর কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু ঘটনা সামনে আসতে কিমের দেশে তোলপাড়। ইতিমধ্যেই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাঝেই করোনা ভাইরাস দেশকে এক ‘মহা অশান্তি’তে ফেলেছে বলে বিবৃতি দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেখানে লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে - সে পরিসংখ্যান সামনে আনা হয়নি। সেদেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, "এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে এক ধরণের অজানা জ্বরের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে”। প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে জ্বরের লক্ষণ রয়েছে। তবে এদের মধ্যে কতজন করোনা ভাইরাস পজিটিভ তা জানানো হয়নি।
দেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমক কিম জং উনের বক্তব্যকে তুলে ধরে বলেছে,"প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের দেশে মারাত্মক মহামারীর বিস্তার এক বড় অশান্তি। 'তবে আমরা যদি সকলে কোভিড বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলি তাহলে আমরা শীঘ্রই এই বিপদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব’।
সূত্রের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে পিয়ংইয়ং-এ জ্বরে আক্রান্ত কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারপরই কোভিড সংক্রমণের হদিশ মেলে। কোরিয়ার সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তবে, করোনায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি উত্তর কোরিয়া।
এই ঘটনা সামনে আসতে তড়িঘড়ি দেশে লক ডাউন ঘোষণা করে সেদেশের সরকার। এক বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় সেদেশের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাসকে নির্মূল করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে করোনা সংক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সেদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে দেশে মোট ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮০০ জনকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের মধ্যে করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণ টিকা নিয়ে গড়িমসি করার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে বিপুল জনসংখ্যার এই দেশকে। দেশে ইতিমধ্যেই জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন যাতে কঠোর ভাবে মেনে চলা হয় তার জন্য প্রশাসনের তরফে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
Read story in English