দাদার মতই হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। সাফ জানিয়ে দিলেন যে, উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের পক্ষ নয়, তবে দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করলে পাল্টা পরমাণু হামলা করবে পিয়ংইয়ং।
নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে চলতি বছরের শুরু থেকেই একের পর এক মারণ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান বা আমেরিকার তরফে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু, ভ্রুক্ষেপ করেনি উত্তর কোরিয়া, উল্টে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এই অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান সুহ ওক। তারপরই দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কিমের বোন। গত তিনদিনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পড়শি দেশকে হুমকি দিলেন কিম ইয়ো জং।
গত শুক্রবার সুহ ওক বলেছিলেন, ' যদি উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে, তাহলে তার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা দক্ষিণ কোরিয়ারও আছে। বস্তুত, দক্ষিণ কোরিয়ার ভাঁড়ারে এমন সব অস্ত্র রয়েছে, যা অতি দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে উত্তর কোরিয়ায় নির্দিষ্ট লক্ষবস্তুতে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম।'
এরই জবাবে কিমের বোনের হুমকি, 'দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান বড় ভুল করছেন। কারণ, উত্তর কোরিয়া একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। তাই উত্তর কোরিয়ার উপর হামলা করা হলে তাঁরাও যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না।' তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কিম ইয়ো জং। তাঁর সাফ দাবি, 'দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে নির্মূল করে দেওয়া ক্ষমতা উত্তর কোরিয়ার আছে।' কিম ইয়ো জংয়ের কথায়, 'যদি দেখা যায় দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ের পথে হাঁটতে চাইছে, তাহলে আমাদের পরমাণু প্রতিরক্ষা বাহিনী অবশ্যই তাদের কর্তব্য পালন করবে।'
প্রসঙ্গত, কিম ইয়ো জং শুধুমাত্র দেশের প্রধান নেতা কিম জং-উনের বোনই নন। তিনি পিয়ংইয়ংয়ের অন্যতম প্রধান নীতি নির্ধারকও। উত্তর কোরিয়ার অন্যতম ক্ষমতাধর মহিলা তিনি। তাঁর কথা তাই হালকভাবে নিতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল।
কিমের বোন জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ভাণ্ডার তৈরির প্রধান কারণ। কিন্তু, অন্য দেশ যদি উত্তর কোরিয়ার উপর হামলা চালায়, তাহলে এই অস্ত্রের ভাণ্ডার ব্যবহার করেই হামলাকারীদের জবাব দেওয়া হবে।
Read in English