আশঙ্কা ছিলই, এবং হলও তাই। আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে বিপাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। সেইসঙ্গে সোমবার সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে সংসদ স্থগিত রাখেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দের কারণেই আস্থা ভোটে হেরে গেলেন ওলি।
২৭১ সদস্যের পার্লামেন্টে সরকারের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৩টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১২৪টি। অন্তত ২৮ জন শাসকদলের সদস্য আস্থা ভোটে অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানাল এবং মাধব কুমার নেপালও ছিলেন। দলে বিরোধী কাজের জন্য তাঁরা সদস্য পদ হারাতে চলেছেন বলে খবর।
সোমবার রাতের দিকে হাউস স্পিকার রাষ্ট্রপতি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী ওলি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। ওলি রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করেন। সূত্রের খবর, সংসদ স্থগিত রেখে ওলিকেই ক্ষমতায় থাকার আরও একটা সুযোগ দিলেন রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর থেকেই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ওলি। রাষ্ট্রপতিকে চাপ দিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়েও লাভ হয়নি। রাষ্ট্রপতি এপ্রিল-মে-তে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন।
গত সপ্তাহে শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ডের গোষ্ঠী সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়। তারপরেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় সরকার। ওই গোষ্ঠীর দাবি, ওলি সরকার সংবিধানের অবমাননা করেছে। দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে সরকারের কার্যকলাপ। সোমবার আস্থা ভোটের আগে ওলির বক্তব্য ছিল, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও কোন্দলের স্বার্থে সরকার ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।