Omicron Cases: ওমিক্রনই অতিমারীর শেষ প্রজাতি নয়। পিছনে দাঁড়িয়ে করোনার একাধিক গ্রিক অক্ষরের প্রজাতি।সম্প্রতি এই দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, ‘অতিমারীকালে প্রতি সংক্রমণ সংশ্লিষ্ট ভাইরাসকে মিউটেট করতে সাহায্য করে। তাই ওমিক্রনও এই মুহূর্তে তার উত্তরসূরির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।‘ সেই মিউটেট প্রজাতি আরও বেশি সংক্রামক-সহ শরীর খারাপ ও ভ্যাকসিন প্রতিরোধীর কারণ হবে।
অর্থাৎ যত বেশি মানুষ সংক্রমিত হবে, তত বেশি ভাইরাস মিউটেট করবে। তবে সেই প্রজাতি দেখতে কেমন কিংবা কতটা তার ক্ষমতা হবে? এই উত্তর জবাব দিতে পারেনি গবেষকরা। কিন্তু তাঁদের অনুমান, পরবর্তী প্রজাতির জন্য মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে কিংবা চলতি টিকা কাজ দেবে। এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
এই প্রসঙ্গে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক ব্যাধির গবেষক লিওনার্দো মার্টিনেজ বলেন, ‘যত দ্রুত ওমিক্রন ছড়াবে, তত মিউটেট করবে। আরও বেশি প্রজাতি সামনে আসবে।‘ গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের হদিশ মিললেও, গত দুই মাসে দাবানলের মতো গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে এই প্রজাতি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডেল্টার থেকে দুই গুণ এবং করোনার আদিম প্রজাতি থেকে চার গুণ সংক্রামক ওমিক্রন।
এদিকে, শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা রাজ্যের করোনা-গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যু-হার। শনিবার মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০,৬৬১-তে নেমে এলেও একদিনে ১১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। গত ছয় মাসের মধ্যে এটাই মুম্বইতে করোনার দৈনিক সর্বোচ্চ বলি। তবে সার্বিকভাবে মহারাষ্ট্রে শনিবার দৈনিক সংক্রমণ কমেছে। শুক্রবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৩ হাজার ২১১ জন। শনিবার সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৪৬২। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শিকার, জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক।
জানা গিয়েছে, ২০২১-এর ১ নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত RTPCR পজিটিভ ৪ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৪ হাজার ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল হাতে এসেছে। দেখা গিয়েছে এঁদের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৭ জন অর্থাৎ মাত্র ৩২ শতাংশ। বাকি ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন