স্বস্তির সংকেত! আমেরিকা, ব্রিটেনে এবার শক্তি হারাবে ওমিক্রন, এমনই দাবি করলেন বিশেষজ্ঞরা। গোটা বিশ্বেই করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে দাপট অব্যাহত। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন ফ্রান্স আমেরিকার অবস্থা সবথেকে খারাপ। তার মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের দাবি দ্রুত শক্তি হারাবে ওমিক্রন। আর তাতেই স্বস্তির সংকেত দেখেছেন সকলেই। ভারত-সহ বাকি বিশ্বেও একই ভাবে কালো ছায়া ফেলেছে করোনার নয়া স্ট্রেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে গবেষকদের দাবি, সংক্রমণ যাভাবে দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক সেভাবেই খুব শীঘ্রই সংক্রমণের হার নিম্নগামী হবে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি মোকদাদ জানাচ্ছে, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, ততই তাড়াতাড়ি নিম্নমুখীও হবে।’বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সন্ধান মেলার পর গত দেড় মাসেই গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে ওমিক্রন। ওমিক্রন দক্ষিণ আফ্রিকায় উৎপত্তি হলেও এখন সেখানে ওমিক্রনের প্রভাব আগের তুলনায় অনেক কম। ঠিক একই ভাবে বিশ্বে ধীরে ধীরে ওমিক্রনের দাপট কমতে শুরু করবে এবং তা হবে অতি দ্রুত।
ওমিক্রনে পর কী নতুন কোন প্রজাতি দাপট দেখাতে শুরু করবে? যদি এই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা। তবে সামগ্রিক ভাবে যে সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে শুরু করবে এবং দ্রুতই তা আরও কমে যাবে, সে ব্যাপারে আশার আলোই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকায় সংক্রমণ যেভাবে বেড়েছে সেই সঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা। প্রচুর সংখ্যক ডাক্তার নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের এই ভবিষ্যৎবাণী থেকে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন চিকিৎসক সমাজ।
এদিকে ইতিমধ্যেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছে করোনার নয়া প্রজাতির সঙ্গে মোকাবিলায় ব্যর্থ পুরনো সকল ভ্যাকসিন। আর তার জন্য প্রয়োজন নতুন ভ্যাকসিন। WHO’র টিকার উপাদান সংক্রান্ত উপদেষ্টা মণ্ডলীর (TAG-CO-VAC) বক্তব্য, পুরনো টিকাগুলির বুস্টার ডোজ বারবার দিলেও করোনার সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে না। করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়তে পারবে না এই ভ্যাকসিন।