বিশ্ব থেকে বিদায় নেয়নি, করোনা মহামারী। কয়েক সপ্তাহ সংক্রমণ কমতে থাকার পর আবারও সংক্রমণের উচ্চ হার লক্ষ করা যাচ্ছে। এক টুইটার বার্তায় এমনই বললেন,এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান খেরখোভ। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন রূপটি এখনও বিশ্বজুড়ে তীব্র পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
চীন দু বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে'। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তিনি তথ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন কয়েক সপ্তাহ সংক্রমণ হ্রাসের পরে বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, হুহু করনএকই সঙ্গে তিনি বলেছেন টিকা মৃত্যুহার ঠেকাতে সক্ষম হলেও সংক্রমণ ঠেকাতে সেভাবে কার্যকারী নয়। সংক্রমণ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে সচেতনতার একটা অভাব চোখে পড়েছে। আর তারই ফল ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ।
মারিয়া ভ্যান খেরখোভ আরও উল্লেখ করেছেন, সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখনও অনেকে দেশেই উচ্চ মৃত্যুহার লক্ষ করা যাচ্ছে যা রীতিমত উদ্বেগের। সেই সঙ্গে তিনি বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলিকে দ্রুত টিকাদান সম্পন্ন করার দাওয়াইও দিয়েছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে নতুন সাপ্তাহিক কোভিড-১৯ মামলার সংখ্যা ৭-১৩ মার্চের মধ্যে ৮ শতাংশ বেড়েছে। ডব্লিউএইচও তার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলেছে, ভিয়েতনাম এবং জার্মানিতে সর্বাধিক সংখ্যক নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। তার জেরে ফের লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে চিন। যার ফলে ব্যবসা ফের মার খেতে শুরু করেছে। লকডাউনের নাগপাশ থেকে চিন মুক্ত পেয়েছে, খুব বেশিদিন একটা হয়নি। তার মধ্যেই ফের লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাসীন এই দেশ। মঙ্গলবার চিনের বিভিন্ন বন্দরেও এত কড়াকড়ি ছিল যে ব্যবসা-বাণিজ্য শিকেয় উঠেছে।
যানবাহনের কারখানা থেকে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের কারখানাগুলো সরকারি নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সব কারখানার অনেকগুলোরই ব্যবসা আবার বিশ্বজোড়া। এমনকী, ভারতেও এই সব কারখানা থেকে বহু পণ্য আসে। কিন্তু, করোনা ফের নতুন করে ছড়াতেই বহু বিদেশি সংস্থা চিন থেকে মালপত্র নিতে ভয় পাচ্ছে। কারণ, এভাবেই অতীতে করোনা চিন থেকে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।এভাবে ব্যবসা মার খাওয়ায় চিন এবং হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে ধস নেমেছে। চিনের রাস্তায় যানচলাচল প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। চিনের দাবি, হংকং-এ করোনা আরও বেশিমাত্রায় ছড়িয়েছে। জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর বেজিং।