আবারও নতুন স্ট্রেনের সন্ধান! আবারও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবধানবাণী। ওমিক্রনের চেয়েও কয়েকগুণে সংক্রামক ভাইরাসের হদিশ মিলেছে যুক্তরাজ্যে। নয়া এই ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘XE’। এযাবৎ যে কটি করোনা প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এই ভাইরাল জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই করোনায় কাবু এশিয়া-ইউরোপের একাধিক দেশ। তার মাঝেই নয়া স্ট্রেনের খবরে কপালে চিন্তার ভাঁজ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
তাদের অনেকের ধারণ অনেক দেশেই করোনা সংক্রান্ত নিয়মকানুন শিথিল করা হয়েছে ফলে নয়া স্ট্রেন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যে। আর এই নয়া স্ট্রেনের হাত ধরেই আসতে পারে পরবর্তী করোনা ঢেউ। BA’1 এবং BA.2 একসঙ্গে চরিত্র বদল করেই করোনার নয়া রূপ ‘XE’-র সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হু। সেই সঙ্গে হু এর তরফে জানান হয়েছে নয়া এই প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা বি.এ.২ প্রজাতির থেকেও ১০ গুণ বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নয়া এই প্রজাতির সন্ধান মেলে।
এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের শিকার হয়েছেন ৬৩৭ জন। জেনেভা-ভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে XE ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে কতটা ভয়ঙ্কর তা জানার জন্য ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা এবং তীব্রতাকে আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ইতিমধ্যে বিশ্বস্বাস্থ্যর তরফে সেই কাজ জোর কদমে করার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে বুধবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্বে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ।
আরো পড়ুন: সাংহাইয়ে অব্যাহত করোনা দাপট, শিশুদের আইসোলেশন নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ
ডব্লিউএইচও বলেছে, জানুয়ারির শেষ থেকে মার্চের শুরুর মধ্যে, নতুন কোভিড-১৯ কেসের সংখ্যা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য ভাবেই কমতে শুরু করেছিল কিন্তু পরপর দুই সপ্তাহে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুনে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ মারণ ভাইরাসের শিকার সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ মানুষের। দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, চিনে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হুহু করে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নতুন সাপ্তাহিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে চিলি থেকে। সেই সঙ্গে হু অনেক দেশেই করোনা পরীক্ষার সংখ্যা এবং সেই সঙ্গে টিকাদানের উদাসীনতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
Read full story in English