মিউটেশনের জেরে করোনার একের পর এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট সামনে আসছে। সাম্প্রতিককালে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সারা বিশ্বে। কিন্তু তার মধ্যেই বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রনের আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট খুঁজে পেলেন। আর তাতেই বাড়ছে দুঃশ্চিন্তা। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু আগের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক।
যদি ওমিক্রনে কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে এরকম ভাবার কোন কারণ নেই যে তিনি নতুন ভ্যারিয়েন্টের দ্বারা আক্রান্ত হবেন না। কার্যত বিশ্বজুড়ে শোনা যাচ্ছিল, ওমিক্রনের মাধ্যমে হয়তো এবার করোনার শেষ হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার করোনা বিধি নিষেধ শিথিলও করে দিয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন এখন অনেক সহজেই পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম। কিন্তু তাতেও চিন্তা যাচ্ছেনা।
ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আরও একবার আতঙ্ক জাগাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওমিক্রনের উপপ্রজাতি যে কেবল বেশি সংক্রামক তাই নয়, বরং বিএ.২ ভ্যারিয়েন্ট একাধিক রোগের বিস্তারের জন্যও দায়ী। ডাব্লুএইচও-এর কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভা, এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন বিএ.২ উপপ্রজাতি বিএ.১ এর থেকে অনেক বেশি সংক্রামক তবে সেভাবে আলাদা ভাবে কোন প্রভাব ফেলে না। যদিও গবেষণার কার্যত বিপরীত তথ্য এদিন সামনে এনেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
আরো পড়ুন: ২০২২-এর শেষে উন্নতি হবে করোনা পরিস্থিতি, জানালেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী
নয়া এই উপপ্রজাতি ইতিমধ্যেই মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ডেনমার্ক, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং যুক্তরাজ্য সহ দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল দ্বারা পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা গেছে করোনা টিকা থাকা সত্ত্বেও শরীরে বি.এ১ ভাইরাসের মতই প্রভাব ফেলতে পারে এই বি.এ ২ প্রজাতি। যদিও টিকার কার্যকারিতার জন্যই ওমিক্রনে আক্রান্তের মধ্যে মৃদু প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে সেকথা মেনে নিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা আরও জানান, ওমিক্রনের উপপ্রজাতি হলেও বি.এ ২ প্রজাতির গঠনগত বৈশিষ্ট্য একেবারেই আলাদা। অন্যদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সারা বিশ্বে রেকর্ড করা পাঁচটি নতুন ওমিক্রন কেসের মধ্যে একটির জন্য দায়ী এই উপপ্রজাতি।
Read in English