বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের ব্যস্ত শহর করাচিতে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে পুলিশের অনুমান। পাক রাজধানী শহরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলায় তিন চিনা নাগরিকসহ চারজন নিহত হওয়ার ঠিক দু সপ্তাহ পর এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করাচির ব্যস্ততম এলাকা সাদ্দার বাজার থেকে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে একটি হোটেলের বাইরে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
Advertisment
পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, " বিস্ফোরণের খবর পেয়েই পুলিশ এবং দমকল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। করাচির সব সরকারি হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে”।
বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের (বিডিএস) এক আধিকারিক বলেন, "সাইকেলের কেরিয়ারে বিস্ফোরক ভর্তি করে রাখা ছিল। এলাকায় আরও কোন বিস্ফোরক মজুত রয়েছে কিনা তা জানতে গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে"।
ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সাউথ শারজিল খারাল বলেন, "আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, আশেপাশের বেশ কয়েকটি বিল্ডিংয়ের জানালার কাঁচ বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে গেছে। আহতদের মধ্যে দুজন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন"।
এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, "বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যার ফলে আশেপাশের বেশ কিছু আবাসন, দোকান, গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। পাশাপাশি রাস্তায় দাঁড় করানো প্রায় আট থেকে দশটি গাড়িতে বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়"।