অবিলম্বে ইমরান খানের পদত্যাগ ও তাঁর সরকারকে উৎখাতের দাবিতে জোট গড়ছে পাকিস্তানের অধিকাশ বিরোধী রাজনৈতিক দল। রবিবারই আলোচনার মাধ্যমে তার রূপরেখা চূড়ান্ত হয়ছে। প্রথম পর্যায়ে আগামী অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমিকভাব গোটা পাকিস্তানজুড়ে তেহরিক ই ইনসাফ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড় তুলবে বিরোধী দলগুলো। ডিসেম্বরে হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন। দাবি আদায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে গোটা দেশ থেকে ইসলামাবাদমুখী বিশাল পদযাত্রার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর দাবি, ইমরান খান জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছিলেন এবং তাতে সহায়তা করেছিল পাক সেনা বাহিনী। তাই পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনার প্রভাব চলবে না। আনতে হবে নতুন দায়বদ্ধতা আইন। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পাক নির্বাচন ব্যবস্থাকেও সংস্কার করতে হবে।
পাক রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোর গড়া জোটের নাম- পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট। তাতে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ) যেমন আছে, তেমনই রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তবে নওয়াজ শরিফ রবিবার বৈঠকে ছিলেন না। কারণ তিনি গত নভেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে। ভিডিওর মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। যদিও বৈঠকে ছিলেন তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। এছাড়াও হাজির ছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জেইউআইএফ-এর প্রতিনিধিও।
আইনসভায় বিরোধী জোটের দলগুলো সরকারের সঙ্গে অসহোযিতা নীতি বজায় রাখবে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈত দলের প্রতিনিধিরা।
ভিডিও বার্তায় নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, 'গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেশ চালাবে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তারাই দেশের অর্থনীতি ঠিক করবে। বিদেশ নীতিও তারা ঠিক করবে।' নওয়াজ বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর পদে ইমরান অযোগ্য। তাঁকে সেনাই প্রধানমন্ত্রী করেছে এবং দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। তাই আমরা আগে সেনার কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করতে চাই।'
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বক্তব্য, 'রাজনীতিতে সেনার কোনো ভূমিকা থাকবে না।' প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির অভিযোগ, 'বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই যাবতীয় পদক্ষেপ করছে ইমরান প্রশাসন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন