Advertisment

মধ্যরাতের হামলায় নিজের প্রাসাদেই খুন হাইতির প্রেসিডেন্ট! থমথমে রাজধানী পোর্ট-ও-প্রিন্স

Haiti President Assasins: বিরোধীদের অভিযোগ, মইজের অধীনে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশ ক্রমশ অস্থিরতা এবং দুর্দশার দিকে এগোচ্ছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Haiti, President Assasin

হাইতির প্রেসিডেন্ট। ফাইল ছবি

নিজের ব্যক্তিগত বাসভবনে খুন হলেন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইজে। বুধবার বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানান সেই দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লডে জোসেফ। সরকারি সূত্রের খবর, মইজের স্ত্রী তথা দেশের ফার্স্ট লেডি গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার গভীর রাতের এক ঘৃণ্য এবং বর্বর হামলায় নিহত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এমনটাই বিবৃতিতে উল্লেখ।

Advertisment

বিরোধীদের অভিযোগ, মইজের অধীনে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশ ক্রমশ অস্থিরতা এবং দুর্দশার দিকে এগোচ্ছিল। বিপন্ন হয়ে পড়েছিল প্রায় ১১ মিলিয়ন দেশবাসীর জীবন-জীবিকা।  অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর জারি করা বিবৃতিতে বলা, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব হাইতির জাতীয় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর হাতে ছাড়া হয়েছে। গণতন্ত্র এবং প্রজাতন্ত্র জিতবেই।‘

তবে এদিন সকাল থেকে হাইতির রাজধানী পোর্ট-ও-প্রিন্সের পথ ছিল শুনশান। তবে কিছু এলাকায় দোকান-বাজারে দেখা গিয়েছে লুটপাটের চিহ্ন। সরকারি সূত্রে খবর, জাতীয় প্রাসাদ রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আর্তদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা নিজেদের মধ্যে স্পেনিশে কথা বলেছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলতে চায়নি হাইতির জাতীয় পুলিশ। গত কয়েকবছর ধরেই এই দেশের আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর দুই মাফিয়া গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ক্রমশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ নাগরিক। ক্রমশ বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানির অভাবে ধুঁকছে দেশ। মোট জনসংখ্যার ৬০% মানুষের দৈনিক অ্যায় ২ ডলারেরও কম। ২০১০ সালের বিধ্বংসী ভুমিকম্প এবং ২০১৬ সালের হ্যারিকেনের তাণ্ডবে ধুলিস্যাত হাইতির অর্থনীতি। তারপর থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Interim Prime Minister Carribean Islands Assasin Haiti President
Advertisment