পার্লামেন্টে হামলায় বেকসুর খালাস আলভি, কুরেশি ও তাদের সঙ্গীরা

আলভির আবেদনে এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি মহম্মদ আলি ওয়ারাইচ।

আলভির আবেদনে এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি মহম্মদ আলি ওয়ারাইচ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

আট বছর আগে পাকিস্তানের সংসদে হামলার ঘটনায় বেকসুর খালাস পেলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সভাপতি আরিফ আলভি। একইসঙ্গে একই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও। তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের শাসক দল।

Advertisment

গোটা উপমহাদেশের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য, কোনও দল ক্ষমতায় এলে সেই দলের নেতা-কর্মীরা দ্রুত মুক্তি পান। এই সময়টায় অভিযোগ দায়ের হয় মূলত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। আইনি ব্যবস্থাপনায় কয়েকগুণ পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানও স্বভাবতই এই সংস্কৃতি থেকে মুক্ত নয়। মঙ্গলবার ফের তা প্রমাণিত হল।

২০১৪ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে হামলার সময় তেহরিক-ই-ইনসাফ ছিল বিরোধী দল। ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ দল। সেই সময় পাকিস্তানের পার্লামেন্ট অভিযান ঘিরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। এই অভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিল ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।

সেই ঘটনায় ইমরান-সহ বিভিন্ন তেহরিক-ই-ইনসাফের বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে এই একই মামলায় অভিযোগ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবরেই মুক্তি পেয়েছেন।

Advertisment

মঙ্গলবার তেহরিক-ই-ইনসাফের অন্য যে নেতারা মুক্তি পেলেন, তাঁরা হলেন- পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আসাদ উমর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খট্টাক, খাইবার পাখতুনখাওয়ার আইন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শওকত আলি ইউসুফজাই, পাকিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য ইজাজ আহমেদ চৌধুরি, প্রবীণ নেতা জাহাঙ্গির তারিন ও আলিম খান।

আরও পড়ুন- আরও বিপাকে রাশিয়া, বিপদ বুঝে পাশ থেকে সরল বন্ধুদেশ চিনও

পার্লামেন্ট ভবনের পাশাপাশি এই নেতাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে টেলিভিশন দফতরে ভাঙচুর চালানো, পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগও ছিল। এর মধ্যে তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রেসিডেন্ট আগেই জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু, সন্ত্রাসদমন আদালত তাঁর জামিন তো দেয়ইনি। উলটে, আদালতে হাজিরা দিতেও বাধ্য করেছিল। কিন্তু, পাকিস্তানে তেহরিক-ই-ইনসাফ ক্ষমতায় আসতেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছিল। যার ফল আরিফ আলভিরা মঙ্গলবার পেলেন।

আদালত থেকে বেকসুর খালাস হওয়ার পর আলভি বলেছেন, 'আমি ইসলামি ইতিহাস পড়ার চেষ্টা করেছি। সেখানে ক্ষমার স্থান নেই। আমি পাকিস্তানের সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। তবে, সংবিধানের চেয়েও কোরান ধর্মগ্রন্থ আরও বড়।'

Read story in English

Court Order pakistan imran khan