ইমরান খানের অপসারণের পর পাকিস্তানজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইছে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়াই না, পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মিটিং-মিছিল করে ইমরানের লোকজন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। বিষয়টিকে প্রথমে আমল দিতে নারাজ হলেও, এবার মুখ খুললেন পাকিস্তানের সেনাকর্তারা। রাওয়ালপিন্ডির সদর দফতর থেকে জানান হল, পাকিস্তানের রাজনীতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগ নেই। পাকিস্তান সেনা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ।
তবে, নভেম্বরেই অবসর নিচ্ছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তারপর যে ছবিটা বদলাবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই বাজওয়াকেই সরাতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অন্য কোনও সেনাকর্তা হলে অভ্যুত্থান ঘটত পাকিস্তানে। অতীতে সেই নজির ভুরিভুরি। তবে, বাজওয়া তাঁর পূর্বসূরিদের রাস্তায় হাঁটেননি। বদলে, পাকিস্তানকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে দূরে থেকেছেন।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতর থেকে পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার জানিয়েছেন, জেনারেল বাজওয়া নভেম্বরের পর আর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে নারাজ। তিনি তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও আবেদন জানাননি। আর, জানাবেন না-বলেই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ইউএপিএতে অভিযুক্ত জঙ্গি, কে এই মুস্তাক আহমেদ জারগার?
সেনাপ্রধান বাজওয়ার দৃষ্টিভঙ্গীকে তুলে ধরে মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার জানান, পাকিস্তান গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এর প্রতিষ্ঠানগুলোই গণতন্ত্রের শক্তি। জাতীয় সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট এবং সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এর মধ্যে কার কী দায়িত্ব তা পাকিস্তানের সংবিধানে নির্দিষ্ট করে বলা আছে। সেইমতো পাকিস্তানের সেনা নিজস্ব পরিমণ্ডলেই থাকতে চায়। অরাজনৈতিক চরিত্র বজায় রাখার পক্ষপাতী।
দিন তিনেক আগেই পাকিস্তানের বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফ, উজির-এ-আজম বা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন। সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান বাজওয়া। এর পিছনে কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? জবাবে, জেনারেল বাবর ইফতিকার জানান, সেনাপ্রধান বাজওয়া সেই সময় অসুস্থ ছিলেন। তাই নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি। এর মধ্যে অন্য কোনও ব্যাপার নেই।
Read story in English