গদি নড়বড়ে অবস্থা, যে কোনও মুহূর্তে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে ফের বিপাকে পড়লেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক নির্বাচন কমিশন এবার নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলল প্রধানমন্ত্রীকে। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হল তাঁকে।
গত ১৫ মার্চ পাক নির্বাচন কমিশন ইমরানের উপর খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াটে নির্বাচনী প্রচারের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরের দিনই সেখানে সভা করেন। স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচনে এই বিধিভঙ্গের জন্য পাক প্রধানমন্ত্রীকে জরিমান করল নির্বাচন কমিশন, খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রে।
নির্বাচন কমিশনের নয়া বিধি অনুযায়ী, কোনও প্রদেশে নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারি প্রতিনিধির সভায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচন কমিশন দুবার ইমরানকে নোটিস দিয়েছে। এর আগে এই রাজ্যেরই মালাকান্দ এলাকায় গত ২১ মার্চ সভা করেন ইমরান।
আরও পড়ুন ঘরে প্রবল চাপে! প্রকাশ্যে ভারত-বন্দনা ইমরানের
নোটিসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী এবং পরিকল্পনা ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আসাদ উমর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। পিটিশন অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারে নয়া পরিষদ গঠিত হওয়া সত্ত্বেও নোটিস জারি করা হয়েছে। যদিও হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজি নয়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের বক্তব্য়, কমিশন স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর করতে পারে।
খাইবার-পাখতুনখোয়ায় দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জনসভা করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছে।