ডিউটি শিফট শেষ। তাই আর কাজ করবেন না। সৌদির দাম্মাম বিমানবন্দরে বেঁকে বসলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পাইলট। কোনওভাবেই আর ককপিটে বসবেন না তিনি। আর এই ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয় বিমানের যাত্রীদের।
পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ইসলামাবাদ আসছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মাঝ আকাশে খারাপ আবহাওয়ার জন্য 'পিকে-৯৭৫৪' বিমানটিকে হঠাৎ জরুরি অবতরণ করতে হয় দাম্মাম বিমানবন্দরে। অবতরণ ঠিক ভাবে হলেও এরপরেই ঘটে বিপত্তি।বিমান চালাতে অস্বীকার করেন পাইলট। ককপিটে বসতে নারাজ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পাইলট জানান, কারণ তাঁর ডিউটি শিফট শেষ। তাই আর কাজ করবেন না। পাইলটের এই অবস্থানে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। তাঁদের পাকিস্তানে ফেরার বিষয়টি নিয়েও দেখা দেয় ধোঁয়াশা।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিমানের ভেতরে থাকা প্রত্যেকেই। বিমান ছাড়তে দেরি করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় দাম্মাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সমস্ত বিমান যাত্রীকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। যতক্ষণ না বিমানটি ফের পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে, ততক্ষণ একটি হোটেলে সমস্ত যাত্রীকে থাকবার ব্যবস্থা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলেছেন পিআইএ'র মুখপাত্র। পাইলটের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, "বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই একজন পাইলটের বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। চিন্তার কোনও কারণ নেই, বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রীদের স্থানীয় হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
বিশ্বজুড়ে, বিমান সংস্থাগুলি পাইলটদের বিশ্রামের ব্যাপারে এর আগে একগুচ্ছ নিয়ম জারী করেছে। ২০১১ সালে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) নিয়ম অনুসারে বিমানে সওয়ারের আগে একজন পাইলটের ১০ ঘন্টা বিশ্রামের কথা বলা হয়েছে। বিধিতে আরও বলা হয়েছে যে একজন পাইলটকে ১০-ঘন্টা বিশ্রামের মধ্যে আট ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের সুযোগ থাকতে হবে।