ইমরান ক্লিনড বোল্ড হতেই বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করল বিরোধীরা। পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই এবার সোমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লড়বেন।
মনোনীত হওয়ার পর টুইট বার্তায় শেহবাজ লিখেছেন, "মিডিয়া, নাগরিক সমাজ, আইনজীবী, আমার দাদা নওয়াজ শরিফ, আসিফ আলি জারদারি, মৌলানা ফল-উর-রহমান, বিলাবল ভুট্টো, খালিদ মকবুল, খালিদ মাগসি, মসিন দাওয়ার, আলি ওয়াজির-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। তাঁরা সংবিধানের জন্য লড়াই করেছেন।"
এদিকে, ইমরান গদিচ্যুত হতেই বিরোধী দলের নেতারা একযোগে এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, পাকিস্তানের অন্ধকার সময় শেষ হল। সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে। রয়টার্স সূত্রে খবর, নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই এবার পাকিস্তানের মসনদে বসতে চলেছেন বলে খবর।
এদিকে, ইমরান সরকারের পতন হতেই পাকিস্তানের সমস্ত এয়ারপোর্টগুলিকে হাই অ্যালার্ট করা হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ সব বিমানবন্দরে জরুরি নির্দেশ দিয়েছে অভিবাসন দফতর যেন সতর্ক থাকে। কারণ, সরকারি আধিকারিকরা তদন্তের ভয়ে দেশ ছাড়তে পারেন। কাউকে যেন যাওয়ার অনুমতি না দেওয়া হয়। এনওসি সার্টিফিকেট দেখেই যেন পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়।
আরও পড়ুন সেনাপ্রধান বাজওয়াকে অপসারণ, কুর্সি বাঁচাতে শেষ চেষ্টা করেছিলেন ইমরান
অন্যদিকে, পরাজয় যে হতে চলেছে তার আঁচ গত কয়েকদিন ধরেই করেছিলেন কাপ্তান। তবুও অধিনায়কোচিত ধারণা থেকে বার্তা দিয়েছিলেন কুর্সি ধরে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাবেন। তবে পারেননি। মধ্যরাতের আস্থাভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তবে জানা যাচ্ছে যে, লজ্জার হার বাঁচাতে পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে সরাতে চেয়েছিলেন ইমরান খান।
অপসারণের আগেই বাজওয়াকে সরানোর জন্য ইমরান চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর রটে গিয়েছিল। যা অবশ্য অসত্য বলে দাবি করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। যদিও এর আগে এক পিটিআই সাংসদও দাবি করেছিলেন যে, পাক সেনাপ্রধানকে সরিয়ে সেনাবাহিনীর অন্দরে বিদ্রোহের আগুন জ্বালাতে চেয়েছিলেন ইমরান খান।