পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে আমদানি হয়েছে অশালীনতা। তাই দেশে বাড়ছে যৌন হিংসার ঘটনা। এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জনগণের সঙ্গে প্রায় দুঘণ্টা দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনই বললেন ইমরান। জনৈক এক ব্যক্তি ফোন করে প্রশ্ন করেছিলেন, দেশে যে হারে ধর্ষণ, যৌন হিংসার ঘটনা বাড়ছে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে তাতে সরকারের কী চিন্তাভাবনা রয়েছে?
তার উত্তরে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অশালীনতাই এর জন্য দায়ী। দেশে ধর্ষণ, যৌন হিংসা বৃদ্ধির জন্য পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা অশালীনতাকে দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ইসলামের ভাষায় পুরদা ভাবনাকে জাগ্রত করতে হবে। সমাজ থেকে কাম-বাসনাকে নির্মূল করতে হবে। কারণ সবার সংযম নেই।
নিজের ক্রিকেট জীবনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সাতের দশকে ব্রিটেনে তিনি যখন ক্রিকেট খেলতেন, সেইসময় যৌনতা, মাদক এবং রক এন্ড রোল সংস্কৃতি ধীরে ধীরে বাড়ছিল। যেটা সরাসরি পরিবারে প্রভাব ফেলছিল। কিন্তু এখন বিবাহ বিচ্ছেদ ৭০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তার কারণ হল সমাজে অশালীনতার বৃদ্ধি।
তাঁর দাবি, একই জিনিস ভারতেও দেখা যায়, যখন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউড থেকে প্রেরণা নিতে শুরু করে। দিল্লিকে ধর্ষণের রাজধানী বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন।
কমিশন বলেছে, জননেতার কাছ থেকে এমন মন্তব্য কাম্য নয়। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ধর্ষণের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকেই এই মন্তব্য শুধু মান্যতা দেয় না, বরং ধর্ষিতাদেরও কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। সরকার ভুলে যাচ্ছে, ছোট ছেলেমেয়েদের থেকে শুরু করে সম্মান রক্ষার্থে হিংসার শিকার মানুষও লজ্জিত হবে এই ধারণায়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানে প্রতিদিন গড়ে ১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত ছয় বছরে পুলিশের কাছে ২২ হাজার ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে।