দেশজুড়ে প্রবল সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এবং বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই সংসদে আস্থা ভোটে জিতে কুর্সি ধরে রাখলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার পাক পার্লামেন্টে ৩৪২ সদস্যের নিম্নকক্ষে ১৭৮ ভোটে জিতলেন ইমরান খান। রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির তত্ববধানে এই আস্থা ভোটে জেতেন ইমরান।
সরকার ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭২টি ভোট। গরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ও সরকারের পতন বাঁচালেন ইমরান। যদিও বিরোধীরা এদিনের আস্থা ভোট বয়কট করেন। সেনেট ভোটে অর্থমন্ত্রীর হারের পর ইমরানের সরকার ফেলতে মরিয়া হয়ে ওঠে বিরোধীরা। কিন্তু তাঁদের আশায় জল ঢেলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
এদিন পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সহ ১১টি দল জোট বেঁধে আস্থা ভোট বয়কট করে। ৬৮ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আস্থা ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কারণ হল অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ গত বুধবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সেনেট নির্বাচনে হেরে যান। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে বিরোধীরা।
এদিন আস্থা ভোটের সময় বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি প্রস্তাব রাখেন, সংসদের নিম্নকক্ষ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা বজায় রেখেছে। পাক সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯১-এর ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী। বর্তমানে নিম্নকক্ষে ১৮০ জন সদস্য রয়েছে সরকারপক্ষের। কয়েকদিন আগে একজন সদস্য ফয়জল ভাওদা ইস্তফা দেন। অন্যদিকে, বিরোধীদের সংখ্যা ১৬০। স্বভাবতই ইমরানের জয় প্রত্যাশিতই ছিল।