গদি যে যাচ্ছে তা বিলক্ষণ বুঝছেন পাক প্রধানমনন্ত্রী ইমরান খান। এবার আস্থা ভোটের আগে অনুগামী ও সমর্থকদের রাস্তায় নামার ডাক ইমরান খানের। রবিবার পাক সংসদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটগ্রহণ রয়েছে। তার আগেই শান্তিপূর্ণ পথে দেশবাসীকে রাস্তায় নামার বার্তা পাক প্রধানমমন্ত্রীর।
পাকিস্তানের প্রধানমম্ত্রীর কুর্সিটা যে কাঁটায় ভরা তা আরও একবার প্রমাণ হল। পাক জমিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করা বড়সড় চ্যালেঞ্জ। এবার হাড়েহাড়ে তা বুঝছেন ইরমান খান। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাকিস্তানে ক্ষমতায় এসেছিল তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমারান খানের ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছিল। বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক দশার ভয়াবহ অবস্থার জন্য ইমরানকেই দায়ী করে চলেছেন বিরোধীরা। দলের অন্তরেও ইমরান-বিরোধী সুর ক্রমেই চড়া হচ্ছে।
এমনকী তাঁর বিদেশনীতি নিয়েও জোটসঙ্গীদের অনেকে ভয়ানক নারাজ। সব মিলিয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ চড়ছিল। তাতে ঘৃতাহুতি পড়ে করোনা মহামারী প্রবল আকার ধারণ করার সময়। দুর্বিষহ অবস্থা হয় দেশের অর্থনীতির। একদিকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রবল সংকট অন্যদিকে দারুণ অর্থনৈতিক দুর্দশা। দু'য়ের কোপে একটানা কয়েকমাস নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে পাকিস্তানকে। যে অবস্থা এখনও চলছে বলে দাবি বিরোধীদের। পরিস্থিতি যা তাতে বিরোধীদের পাশাপাশি ইমরান খানের দলেরই বেশ কয়েকজন সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে আজ ভোট দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিক্ষোভ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা, শ্রীলঙ্কায় ৩৬ ঘন্টার কার্ফু জারি, গোটাবায়াকে জোটসঙ্গীর হুঁশিয়ারি
শুক্রবার ইমরান বলেছিলেন, ''দেশের জন্য এখন খুব প্রয়োজন একটি স্বতন্ত্র বিদেশ নীতি। এই কারণেই পাকিস্তান অন্যান্য শক্তিশালী দেশের নির্ভরতা থেকে মুক্ত হতে পারছে না। দেশের উন্নতিও শিখরে পৌঁছচ্ছে না। স্বতন্ত্র বিদেশনীতি ছাড়া কোনও দেশ তার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে পারে না।'' এরপর শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''ওদের সামনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছিলাম। কীভাবে ওদের সামনে দাঁড়াই তা আপনারা আগামিকালই দেখতে পাবেন। সাধারণ নাগরিকরা সতর্ক থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন এটাই আমি চাই। এটা অন্য দেশ হলে এতক্ষণে সাধারণ মানুষ পথে নেমে পড়তেন।''
টুইটে ইমরান খান লিখেছেন, ''কারবালায় ইমাম হোসেন ও তাঁর পরিবার শত্রুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাঁরা সত্যি ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য দেখাতে গিয়ে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আজ আমরা সত্য ও দেশপ্রেমের জন্য মিথ্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে লড়ছি।''
Read full story in English