পাকিস্তানের বালোচিস্তানে মহম্মদ আলি জিন্নার মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বালোচ রিপাবলিকান আর্মি। সংগঠনের মুখপাত্র বাবগার বালোচ টুইটারে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। পাকিস্তানের মধ্যে অত্যন্ত উপদ্রুত এলাকা বলে পরিচিত এই বালোচিস্তান। গোয়াদারের উপকূলবর্তী শহরে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার একটি মূর্তি ছিল। ভয়াবহ বিস্ফোরণে সেই মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বালোচ জঙ্গিরা।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসে বালোচিস্তানের মেরিন ড্রাইভে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল। সংবাদসংস্থা ডন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার সকালে ওই মূর্তির নীচে বিস্ফোরক রেখে দেয় জঙ্গিরা। মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যায় জিন্নার মূর্তি। বিবিসি উর্দু জানিয়েছে, বালোচিস্তানে জিন্নার মূর্তি ভাঙার দায় স্বীকার করেছেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বালোচ রিপাবলিকান আর্মির মুখপাত্র বাবগার বালোচ।
এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। বিবিসি উর্দুকে গোয়াদারের ডেপুটি কমিশনার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল কবীর খান জানিয়েছেন, এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনার সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এলাকায় পর্যটক হিসেবে ঢুকেছিল জঙ্গিরা। পর্যটক হিসেবে ঢুকে জিন্নার মূর্তি বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ওই জঙ্গিরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। গোয়াদারের ওই পুলিশকর্তা বলেন, “আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। দোষীদের শীঘ্রই ধরা হবে।”
জিন্নার মূর্তি ওড়ানোর ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বালোচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বর্তমান সেনেটর সরফরাজ বুগতি। টুইটে তিনি লিখেছেন, “গোয়াদারে কায়েদে আজমের মূর্তি ভাঙা পাকিস্তানের মতাদর্শের উপর আক্রমণ। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, যেমন জিয়ারাতে কায়েদে আজমের বাড়িতে হামলায় দোষীদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল এক্ষেত্রেও এই একই রাস্তা নেওয়া হোক।”
আরও পড়ুন- ‘নন্দীগ্রামে ছক্কা মেরেছি, ভবানীপুরের ভোট চাপিয়ে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পাকিস্তানের জিয়ারাত এলাকায় মহম্মদ আলি জিন্নার পরিবারের ১২১ বছরের পুরনো বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় বালোচ জঙ্গিরা। ওই বাড়িতে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। জিন্নার বাড়ির আসবাবপত্র এবং স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করে দেয় বালোচ জঙ্গিরা। যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার পর জীবনের শেষ কয়েকটি দিন ওই বাড়িতেই কাটিয়েছিলেন মহম্মদ আলি জিন্নার। বাড়িটি জাতীয় স্মৃতিসৌধ হিসেবে ঘোষণা করেছিল পাক সরকার।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন