করোনার আঁতুড়ঘর চিনে ফের ফিরল সংক্রমণ আতঙ্ক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর সে দেশের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা রোগীর হদিশ মিলেছিল। তারপর প্রায় ছয় মাস এই অতিমারীর প্রভাব ছিল মাও সে তুংয়ের দেশে। এরপর বিশ্বের একাধিক দেশে করোনা ঢেউ উদ্বেগ বাড়ালেও নিঃস্পৃহ ছিল চিন। সম্প্রতি সে দেশে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। এবার দক্ষিণ-পূর্ব চিনে।
সেই এলাকায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে রোগী দেহে। এমনকি সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ছেন সেই রোগী। সরকারি এক সংবাদ মাধ্যমকে এমন তথ্যই দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, ‘২০১৯-এর সংক্রমিত প্রজাতির চেয়ে অনেকগুণ বেশি মারাত্মক এই ডেল্টা প্রজাতি। প্রতি ১০ জন সংক্রমিতের মধ্যে ৪-৫ জনের মধ্যেই উপসর্গ। হয় জ্বর নয় কাশি। এমনকি বাহকের শরীরে জাঁকিয়ে বসছে এই প্রজাতি। ফলে শারীরিক ভাবে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে সংক্রমিতকে।‘
গুয়াংঝৌয়ের এক বিশ্ববিদায়লয়ের চিকিৎসক বলেন, ‘সংক্রমিত হওয়ার ৪-৫ দিনের মধ্যেই প্রায় ১২% রোগী মাঝারি বা আশঙ্কাজনক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু গতবার এই সংখ্যা ছিল ২%-৩%, সর্বাধিক ১০%।‘ একই সমস্যার সম্মুখীন ব্রিটেন এবং ব্রাজিলের চিকিৎসকরা। তাঁরাও ডেল্টা প্রজাতির প্রভাবে সংক্রমিতদের চিকিৎসা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে, ইউহানের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস! এমনই রিপোর্ট দিল মার্কিন তদন্তকারীরা। এর জন্য আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা আবশ্যক বলে দাবি মার্কিন ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে।
সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সেই গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে।গত বছর মে মাসে মার্কিন বিদেশ দফতরের সুপারিশে ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এই অতিমারীর উৎস নিয়ে একটি তদন্ত চালায়। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে সেই রিপোর্টে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
যদিও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন ল্যাব। গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনার উৎস খুঁজে বের করতে মার্কিন ইন্টেলিজেন্সকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তবে তাঁদের তদন্তে দুটি তত্ত্ব উঠে এসেছে। এক, হয় ল্যাবে দুর্ঘটনা থেকে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে বা সংক্রমিত প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাস এসেছে। কিন্তু কোনওটিরই চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন