বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি। এই প্রজাতির সংক্রমণে ৪-৫ দিনের মধ্যেই সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ছেন সংক্রমিতরা। ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকার পর সম্প্রতি চিনেও এই প্রজাতি প্রভাব বিস্তার করেছে। গবেষক-সহ চিকিৎসকদের কাছে এই প্রজাতি এখন ক্রমেই দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে। ব্রিটেনে খোঁজ পাওয়া আলফা প্রজাতির (পূর্বতন নাম ব্রিটেন স্ট্রেন)চেয়ে মারাত্মক ডেল্টা প্রজাতির কামড়। এমনটাই বলছেন গবেষকরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দুই সংস্থার টিকা এই প্রজাতিকে বাগে আনতে সক্ষম হয়েছে।
ল্যান্সেট জার্নালে প্রকাশ, অ্যাস্ট্রেজেনেকা আর ফাইজার ভ্যাকসিন ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ছে। সমীক্ষায় দাবি, ‘অ্যাস্ট্রেজেনেকার কোভিশিল্ডের চেয়েও ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা বেশি।‘
জানা গিয়েছে, পয়লা এপ্রিল থেকে ৬ জুন এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মোট ১৯,৫৪৩ জনের মধ্যে গবেষণাভিত্তিক ট্রায়াল চলেছে এই দুই টিকার। যাঁদের মধ্যে স্কটল্যান্ডের ৩৭৭ জন সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।‘ দেখা গিয়েছে। সেই ১৯ হাজার সংক্রমিতের মধ্যে ৭,৭২৩ জন গোষ্ঠী সংক্রমণের শিকার। এই সংক্রমিতদের মধ্যে ফাইজারের টিকা ব্যবহারে সাফল্য এসেছে। আলফা প্রজাতির কারণে সংক্রমিতদের মধ্যে ৯২%-এর দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে আর ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৯%-এর মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে ফাইজারের টিকা।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে ভারত। ৭৫ দিন পর দেশে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। কমল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। আত্মশাসন এবং টিকাকরণের ফল পাচ্ছে দেশবাসী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত ৬০ হাজার ৪৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২,৭২৬ জনের। তার মধ্যে ১৬০০-র বেশি মহারাষ্ট্রে হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে পুরনো মৃত্যু পরিসংখ্যান জোড়া হয়েছে বলে মহারাষ্ট্রের মৃত্যু সংখ্যা বেশি দেখানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন