টোকিও সফরের প্রথম দিন ভারত-জাপান সম্পর্ককে নিজের ভাবনায় ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দুই দেশ স্বাভাবিক বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আধ্যাত্মিকতার, সহযোগিতার। গোটা বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারত তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে। আর, তা সম্ভব হয়েছে জাপানের বিনিয়োগের সাহায্যেই। দুই দিনের সফরে সোমবারই টোকিও পৌঁছন মোদী। তাঁকে নিমন্ত্রণ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। জাপানে কুয়াদ গোষ্ঠীর সদস্যদের বৈঠক হবে। এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাদা করেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যে মোদী জানান, ভারত সবসময়ই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। তা সে যে ধরনের সমস্যাই হোক না-কেন। সম্প্রতি ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার জেরে আমেরিকা-সহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশ ভারতকে পাশে চেয়েছিল। কিন্তু, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেতে ভারত রাজি হয়নি। শুধু তাই নয়, আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ অমান্য করে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এই ব্যাপারে ভারত জানিয়েছে, দেশের স্বার্থই সবার আগে। জাপানের মত আমেরিকাও কুয়াদ গোষ্ঠীর সদস্য। তার ওপর সম্প্রতি, জাপানের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত নিয়ে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। যার জেরে এই সব বিষয়গুলো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তুলতে পারেন কুয়াদ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রনেতারা।
আরও পড়ুন- ইউক্রেনে হামলার অপরাধে প্রথম কোনও রুশ সেনার সাজা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিয়েভ আদালতের
তবে, অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত যুদ্ধ চায় না। রাশিয়া এবং ইউক্রেন পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নিক। এমনটাই চায় ভারত। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে ভারত ' মেড ইন ইন্ডিয়া' ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে সেই ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত। বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাপানে প্রবাসী ভারতীয়দেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, জাপানে বসবাসকারী ভারতীয়রা জাপানের সংস্কৃতির আত্তীকরণ করেছেন। তার পরও কিন্তু, তাঁরা নিজেদের সংস্কৃতিকে অবহেলা করেননি। নিজেদের সংস্কৃতিকে ভুলে যাননি।
Read full story in English