সোমবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদেশে এখনও আটেকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার-সহ ইউক্রেনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেন জুড়ে উপর্যুপরি হামলা জারি রাখলেও পিছু হঠতে নারাজ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউক্রেন সর্বশক্তি দিয়ে রুশ সেনার মোকাবিলা করে চলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া একটি ভাষণে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট রুশ সেনাকে সতর্ক করেছেন।
জেলেনস্কির হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনে যে নৃশংসতায় হামলা হয়েছে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে। হামলাকারীদের তিনি 'শাস্তি' দেবেন বলেও জানিয়েছেন। রুশ সেনাকে হুঁশিয়ারির সুরে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ''হামলাকারীদের জন্য একমাত্র শান্ত স্থান হল কবর। হাজার হাজার কষ্ট। ক্ষমার পরিবর্তে, বিচারের দিন ফিরবে।''
অন্যদিকে, ইউক্রেনে আগ্রাসন আরও বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিয়েভের বাইরে ব্যাপক গোলাবর্ষণের জেরে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন অংশ ঘিরে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। তবে তাদের রুখে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাও।
আরও পড়ুন- Explained: সুমি থেকে ভারতীয়দের সরানোটা কেন কঠিন আর সুযোগ কেন কম
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাজধানী কিয়েভের উত্তরে ব্যাপক লড়াইয়ে সফলভাবে তাদের অবস্থান রক্ষা করতে সফল হয়েছে। পূর্ব দিক থেকে রুশ সেনাকে তারা আটকে রেখেছে বলে দাবি করেছে।
এদিকে, ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের ফেরানোরা উদ্যোগ জারি রেখেছে ভারত। রাশিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর সুমি থেকে ভারতীয়দের সরানোর কাজ চলছে। প্রায় ৭০০ ভারতীয় যাঁদের বেশিরভাগই পড়ুয়া, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, যুদ্বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা বৃহৎ সংখ্যায় এটাই শেষ ভারতীয়দের দল। বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাসের একটি দল মধ্য ইউক্রেনের শহর পোলতাভাতে রয়েছে। তাঁরাই পশ্চিম সীমান্তে সুমি থেকে পড়ুয়াদের নিরাপদে সরানোর চেষ্টা করছে।
Read story in English