দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যা সেদেশের সাম্প্রদায়িকতার চেতনাবোধে আঘাত বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুষ্কৃতীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করে হাসিনা বলেছেন, 'এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই। সে যেই হোক না কেন, যে ধর্মের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযখ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা আমরা করেছি এবং করব।'
এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশের সকল ধর্ম-বর্ণের একসঙ্গে বসবাস করবেন। যাঁর যাঁর ধর্ম, তাঁরা পালন করবেন। অর্থাৎ ধর্ম যাঁর যাঁর, কিন্তু উৎসব সকলের। বাংলাদেশে এটা সবসময় ছিল, থাকবেও। প্রত্যেকে সেই উৎসব সামিল হয়ে একসঙ্গে উপভোগ করেন। কিন্তু মাঝেমাঝে কিছু কিছু দুষ্টচক্র কিছু ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের এই চেতনাকে নষ্ট করতে চায়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কয়েকদিন আগে কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ব্যাপক তদন্ত হচ্ছে। কিছু কিছু তথ্যও আমরা পাচ্ছি। অবশ্যই এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই। আমরা বের করতে পারব। এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা বের করা যাবে। সে যেই হোক না কেন, যে ধর্মের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযখ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা আমরা করেছি এবং করব।'
বাংলাদেশের জাতির পিতা 'বঙ্গবন্ধু' শেখ মুজিবর রহমনকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন বলেন, 'জাতির পিতা ১৯৭৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বলেছিলেন যে বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান যাঁরা এদেশে বসবাস করেন তাঁরা সকলেই এদেশের নাগরিক। প্রতিটা ক্ষেত্রে তাঁরা সমানাধিকার ভোগ করবেন।' 'বঙ্গবন্ধুর' দেখানো পথেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান হাসিনা। তাঁর সরকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য কী কী কাজ করেছেন তারও বেশ কয়েকটি খতিয়ান দিয়েছেন প্রদানমন্ত্রী।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দুদের দুর্গা মণ্ডপে হামলার বিষয়ে গতকালই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীকে গোটাটাই জানিয়েছিলেন তিনি। সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকেও। এরপরই এল শেখ হাসিনার কড়া বার্তা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন