Advertisment

গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে মায়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ, 'মার্শাল ল' জারি সেনার

স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু কি-র মুক্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবাদী সাধারণ মানুষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে জলকামান ব্যবহার করা হয়।

মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। যদিও সেনা সরকার বিরোধী সমস্ত রকম প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে বেআইনি ঘোষণা করেছে জুন্টা সরকার। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় গুলি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটানো হয় বলে খবর।

Advertisment

সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর, বহু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানী নাওপিদাওয়ে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের দমন করতেও জলকামান ব্যবহার করে সেনা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ফের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে দেশে, সেইসঙ্গে স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু কি-র মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন সরকারকে ফেলে দিয়ে সামরিক শাসন জারি হয়েছে মায়ানমারে।

এমন একটি দেশে ক্রমবর্ধমান অবক্ষয় ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে অতীত বিক্ষোভগুলি মারাত্মক শক্তির সাথে মিলিত হয়েছিল এবং এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পূর্ববর্তী আন্দোলনের একটি অনুস্মারক। সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালের বিশাল অভ্যুত্থান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে ২০০৭ সালের বিদ্রোহ দমন করতে সামরিক বাহিনী মারাত্মক শক্তি ব্যবহার করেছিল।

সোমবার রাতে ইয়াঙ্গন ও মান্দালয় শহরের কয়েকটি অঞ্চলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, মোটামুটি মিছিল-সহ পাঁচজনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাত ৮টা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছে।

myanmar aung-san-suu-kyi
Advertisment