২৫ তম দিন অতিক্রান্ত। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামার কোন লক্ষন নেই। । সংঘর্ষে আঁচ নেভা দূরঅস্ত, দিনদিন আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে চলেছে রুশ সেনা। প্রাণের তাগিদে এর মধ্যেই বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, ভিনদেশের আশ্রয়ে গিয়ে জুটেছে শরণার্থী (Refugee) তকমা। ছিন্নভিন্ন শৈশবও। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি শিশু উদ্বাস্তু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধে নিহত শিশুর সংখ্যা ৮৭। রুশ সেনার গুলি, বোমায় জখম অবস্থায় নানা দেশের হাসপাাতালে ভর্তি তারা। দেশ ছেড়ে পড়শি দেশে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। রোমে তেমনই এক হাসপাতালে জখম ইউক্রেনীয় শিশুদের দেখতে আচমকাই হাজির হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। শিশুদের স্পর্শ করে আশীর্বাদের পাশাপাশি তাদের জন্য প্রার্থনা করলেন, আশ্বাস দিলেন অভিভাবকদের। আর সেই সঙ্গে ‘যুদ্ধবাজ’ তকমা দিয়ে রাশিয়ার নিন্দায় মুখর হলেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধের বলি হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৯০২ জন সাধারণ নাগরিক। যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় একমাস হতে চলল। প্রতিদিনই অসংখ্য লোকের মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেনে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ জানাল নিহত সাধারণ নাগরিকের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০২ জন। আহত ১,৪৫৯ জন।
আরো পড়ুন: মোদী-মরিসন ভার্চুয়াল বৈঠক আজ, দেড় হাজার কোটির প্রকল্প ঘোষণা হতে পারে
কখনও ধেয়ে আসছে গোলা, কামান, কখনও আবার গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে আকাশ-বাতাস। দখলদারির যুদ্ধে রুশ আগ্রাসন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুদেরও রেয়াত করছে না। ছোটদেরও বাস্তুচ্যুত হতে হচ্ছে। কখনও বা যুদ্ধাস্ত্র কেড়ে নিয়েছে কারও হাত-পা, কারও বাকশক্তি হারিয়েছে। এই অবস্থায় তারা ভিনদেশের নানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোমের ভ্যাটিকানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শিশু। তাদের মধ্যে একজন ক্যানসার আক্রান্ত। পোপ ফ্রান্সিস হাসপাতালে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দাঁড়িয়েই প্রার্থনা করেন তিনি।
রাশিয়ার ভূমিকায় কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন পোপ ফ্রান্সিস।। তাঁর কথায়, ইউক্রেনে দায়িত্বজ্ঞানহীন হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে রাশিয়া। বিশ্ব শান্তির স্বার্থে তাদের অবিলম্বে যুদ্ধ থামানো দরকার। রবিবার সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে সমবেত প্রার্থনাসভায় সকলেই শান্তির বার্তা দিয়ে বলেন, 'দিনদিন রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে'।
Read story in English