/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/download-5.jpg)
WHO জানিয়েছে, ৫৭ টি দেশ থেকে বিএ.২ সিকোয়েন্সটি পাওয়া গেছে
ওমিক্রন বিশ্বের কতটা ক্ষতি করেছে? ওমিক্রনের প্রভাব কি শেষ? এই সব সাত-পাঁচ নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব চিন্তিত, সেই সময় ফের করোনা নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'। সংস্থাটি জানাল, ওমাইক্রনই শেষ না। করোনার নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক প্রশ্নোত্তর পর্বে হু-এর টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভে জানিয়েছেন, 'ওমিক্রনেরই চারটি প্রজাতি আছে। আমরা এই ভাইরাসটার ব্যাপারে অনেক কিছু জেনেছি। কিন্তু, সব জানি না। খোলাখুলি বলছি, নতুন প্রজাতিগুলো গোটা বিশ্বে ছড়়াবে। সেই জন্য আমরা প্রতিটা মুহূর্তে এই ভাইরাসটার ওপর নজর রাখছি। এটা বারবার প্রজাতির বদল করছে। এখনও আরও বদল বাকি।'
হু-এর আধিকারিকের দাবি, ওমিক্রন করোনার সাম্প্রতিকতম সংস্করণ। কিন্তু, এটাই শেষ না। হয়তো কিছুদিন পর হানা দেবে ওই ভাইরাস। কিন্তু, তা বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। আর, সেই সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এই জন্যই ভ্যাকসিনেশনে বেশি করে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি, সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে সতর্কতাও জরুরি। এর আগে হু ২০২১-এর ২৬ নভেম্বর জানিয়েছিল, করোনার বি.১.১.৫২৯ ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২ এবং বিএ.৩ ওমিক্রনেরই প্রজাতি।
আরও পড়ুন- বিতর্কিত কৃষি আইনের হয়ে গলা ফাটিয়ে ধন্দ তৈরি করলেন মোদী
এরমধ্যে বিএ.২ বিশ্বজুড়ে ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন হু-এর বিজ্ঞানীরা। ওমিক্রন অন্যান্য সব ভাইরাসের চেয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। তবে, যে দেশগুলোয় প্রথমে ছড়িয়েছিল, ২০২২-এর জানুয়ারির পর দেখা যাচ্ছে যে সেই সব দেশগুলোয় ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। আর ৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বেই করোনার সংক্রমণ আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমে গেছে। এটা যেমন আশার কথা। তেমনই নতুন করে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সাত শতাংশ বেড়েছে। আর, তাতেই উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Read story in English