ভূমিকম্পে জাপানের পরমাণু কেন্দ্রে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

বিদ্যুতের চাহিদার কারণে জাপানের ৩৮ শতাংশ মানুষ ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র ফের চালুর পক্ষে ছিলেন।

বিদ্যুতের চাহিদার কারণে জাপানের ৩৮ শতাংশ মানুষ ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র ফের চালুর পক্ষে ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ভয়াবহ আফটার শক! লাইনচ্যুত বুলেট ট্রেন, জাপানে জারি সুনামির সতর্কতা

প্রতীকী ছবি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্ব জাপান। এই কম্পনে জাপানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো নিয়ে ব্যাপক আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০১১ সালে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর অনেকেই জাপানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোয় জোরকদমে কাজ চালানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু, এবারের ভূমিকম্প বুঝিয়ে দিল, সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল না।

Advertisment

প্রাথমিক ভাবে অবশ্য ভূমিকম্পে পরমাণু কেন্দ্রগুলোয় বড় কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। তবে, ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্রে আগুন লাগার সময়কার বিপদঘণ্টি বেজেছে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই পরমাণু কেন্দ্রের কর্মীরা। ২০১১-র সুনামিতে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৬ হাজার জাপানবাসীর মৃত্যু হয়েছিল।

চলতি মাসের গোড়ায় সেই বিপর্যয়ের একাদশ বার্ষিকী পালন করেছে জাপান। সেই সময় জাপানের শাসক দলের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সরকারের কাছে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র নতুন করে সক্রিয় করার আবেদন করেছিলেন। তবে, সেই আবেদন করলেও জাপান সরকার পরমাণু কেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিল। সেই চিন্তার যে বড় কারণ আছে, এবারের ভূমিকম্প যেন তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

জাপান এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। বিশ্বে পরমাণু বোমায় একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত দেশও জাপান। সেক্ষেত্রে পরমাণু কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে, তা যে কতটা ব্যাপক হতে পারে, জাপানবাসীর চেয়ে কেউ তা বেশি বোঝে না।

Advertisment

আরও পড়ুন- বিজ্ঞানীদের আশঙ্কাই সত্যি! করোনার নতুন প্রজাতির খোঁজ ইজরায়েলে

তবুও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে জাপানের ৩৮ শতাংশ মানুষ ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র ফের চালুর পক্ষে ছিলেন। তাঁদের সেই মতামতটাই ভাবাচ্ছিল জাপানের ফুমিও কিশিদাকে। কারণ, এই ৩৮ শতাংশ নাগরিক আবার যুবশ্রেণি। যাঁরা জাপানের আগামী দিন বয়ে নিয়ে যাবেন। শুধু তাই না। এর মধ্যে একটা রাজনীতিও আছে। তা হল, দেশের যুবশ্রেণিকে চটিয়ে ফের জাপানের ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না কিশিদার দল।

আবার, দেশের যুবশ্রেণিকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে বড় বিপর্যয় ঘটে গেলে, তার দায় আবার নিতে হবে জাপান সরকারকে। এটাও মাথায় রাখছিলেন কিশিদা। এই পরিস্থিতিতে দেশের যুবশ্রেণিকে পরমাণু কেন্দ্রের সমস্যা সম্পর্কে বোঝানোর দরকার। সেই কাজ জাপান সরকারকেই করতে হবে বলে মনে করছেন নাগাসাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাত্সুজিরো সুজুকির মতো অনেক বিশেষজ্ঞই।

Read story in English

Japan fukushima