ভারতে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ রফতানিতে বিধিনিষেধ তোলেনি আমেরিকা। এদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউট-সহ একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বারবার অনুরোধ করছে মার্কিন প্রশাসনকে, যাতে এই বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয় এবং ওষুধ-কাঁচামাল আমদানি করতে পারে ভারত। ভারতে ভয়াবহ পরিস্থিতির জেরে বাইডেন প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে মার্কিন বণিক মহল, বিশিষ্ট ইন্দো-আমেরিকানরা।
মার্কিন চেম্বার অফ কমার্সের আন্তর্জাতিক লেনদেন বিষয়ক প্রধান মাইরন ব্রিলিয়ান্ট একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারত-সহ গোটা বিশ্বে করোনা অতিমারীতে মৃত্যুমিছিলের জেরে মার্কিন বণিক মহল সরকারের কাছে আবেদন করছে, মজুত থাকা লক্ষ লক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ডোজ, এবং অন্যান্য় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী দ্রুত ভারত, ব্রাজিল ও অন্য দেশগুলিতে রফতানি করা হোক।
তাঁর দাবি, আমেরিকার কাছে যা ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে তা পর্যাপ্ত। সেখান থেকে ভারত-সহ বিশ্বের অনেক দেশকে রফতানি করা যেতে পারে। জুন পর্যন্ত টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে পর্যাপ্ত ডোজ তৈরি করতে পারবে। তাই রফতানি করলে সমস্যা হবে না। কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ আমেরিকার নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করবে। এই মুহূর্তে অতিমারী মোকাবিলায় গোটা বিশ্বের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর করোনা অতিমারী মোকাবিলায় বিশ্বের সব দেশের সাহায্য চাইতেই মার্কিন বণিক মহল এই বিবৃতি জারি করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচার আধিকারিক শেখর নরসিমহন প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। তিনি বলেছেন, "মানবজাতিকে এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে আমাদের কিছু করতেই হবে। আমেরিকায় বসবসকারী আমার ভারতীয় বন্ধুরা বারবার বলছেন, যে ভারতে তাঁদের পরিজনরা হয় আক্রান্ত হচ্ছেন বা মারা যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট আপনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলুন। দেখুন যাতে আমরা ১ কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ডোজ আগামীকালের মধ্যে পাঠাতে পারি কি না। আমাদের সাহায্য করতেই হবে।"