শীঘ্রই পাকিস্তানের হালও শ্রীলঙ্কার মতোই হতে চলেছে। তীব্র আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। এতটাই হাল খারাপ যে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন পাকিস্তানের নতুন উজির-এ-আজম শেহবাজ শরিফ। শপথ নেওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সেকথা স্বীকারও করে নিলেন শেহবাজ। জানালেন, পাকিস্তান 'ঋণে ডুবছে। এই ডুবন্ত জাহাজকে উপকূলে পৌঁছে দেওয়াই নতুন সরকারের কাজ।' শরিফের ৩৪ সদস্যের মন্ত্রিসভায় প্রবীণ এবং নবীন মুখ মিলেমিশে রয়েছে।
মঙ্গলবারই শপথ নেন নতুন মন্ত্রীরা। নিয়ম অনুযায়ী শপথবাক্য পাঠ করানো কথা ছিল প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছের মানুষ আরিফ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর বদলে শপথবাক্য পাঠ করান পাকিস্তান আইনসভার চেয়ারম্যান সাদিক সঞ্জরানি। বুধবার নতুন মন্ত্রীদের বৈঠকে শেহবাজ শরিফ বলেন, 'আমি এটাকে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলে মনে করি। কারণ, আপনারা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এই মন্ত্রিসভা সব সমস্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গঠন করা হয়েছে।' মন্ত্রিসভার এই বৈঠক সরাসরি পাকিস্তানের সরকারি টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে নাম না-করে ইমরানের সরকারকে দোষারোপ করেন শেহবাজ। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর পূর্ববর্তী সরকার সমস্যাগুলোর সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছিল। বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য কিছুই করতে পারেনি। কাজের বদলে কথাই বলে গিয়েছে আগের সরকার। একথা বলার পাশাপাশি, শেহবাজ মন্ত্রিসভায় যোগদানের জন্য সহযোগী দলগুলোকে ধন্যবাদ দেন। পাশাপাশি, সমস্যা সমাধানে মন্ত্রিপরিষদের সহকর্মীদের দক্ষতার প্রশংসা করেন। জানান, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা যতটা ভালো কাজ করতে পারবেন, তার ওপরই পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। শুধু শেহবাজই অবশ্য না।
পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে বিশ্বব্যাংকও। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩৪ শতাংশ দৈনিক ৫৮৮ টাকা রোজগার করে। বাকিদের অবস্থা আরও করুণ। সেকথা মাথায় রেখে বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে শেহবাজ জানান, পাকিস্তানে একের পর এক কারখানা শুধুমাত্র গ্যাস এবং বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। সেগুলোকে খোলার ওপরই এখন তিনি প্রথমে নজর দিতে চান।
Read story in English