ফের বাড়ল চিন্তা। করোনভাইরাসটির একটি নতুন স্ট্রেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটি একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে কারণ যে মিউটেশনের ফলে এর রূপান্তর ঘটেছে যা ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। গবেষকরা দুটি দল এমনটাই জানতে পেরেছে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে।
নতুন এই করোনা ভ্যারিয়েন্টের নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন- B.1.526। নভেম্বরে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তারই মধ্যে হঠাৎ পাওয়া গিয়েছে এই স্ট্রেনটিকে। কিন্তু সেটি ছিল কম সংখ্যক। কিন্তু চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে যখন ডেটাবেস তৈরি করার কাজ চলতে থাকে তখন চারটি ভিন্ন ভাইরাস সিক্যুয়েন্সের মধ্যে ফের উপস্থিতি পাওয়া যায় এই স্ট্রেনটির। অন্য একটি দল, যারা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তাঁরা তাঁদের গবেষণা অনলাইনে পোস্ট করলেও তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করেনি। তবে এই স্ট্রেনের সংক্রমক যে অত্যন্ত বেশি তা নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা।
নতুন গবেষণায় জড়িত নন রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট ড. মিশেল নুসেনজওইগ বলেন, "এটি কোনও বিশেষ আনন্দের সংবাদ নয়। তবে কেবল এটি সম্পর্কে জেনে রাখা ভাল, কারণ তাহলেই আমরা সম্ভবত এই ভাইরাস সম্পর্কে কিছু করতে পারি”। তিনি এও বলেন যে ক্যালিফোর্নিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনা মিউটেশনের চেয়ে নিউইয়র্কের বিভিন্ন রূপ নিয়ে তিনি বেশি চিন্তিত। এই নতুন রূপ এখন ৪৫ টি রাজ্যে প্রায় ২,০০০ কেসের জন্য দায়ী।
এই ভাইরাসে সংক্রামিত রোগীরা যারা করোনার মিউটেশনটি বহন করছেন তাঁরা বেশিরভাগই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ওয়েস্টচেস্টারে, ব্রঙ্কস এবং কুইন্সে, ম্যানহাটনের নীচের অংশে এবং ব্রুকলিনে মামলাগুলি দেখতে পাই। সুতরাং এটি বিস্তৃত বলে মনে হচ্ছে। এটি কোনও একমাত্র প্রাদুর্ভাব নয়।
অন্যদিকে, ভারতে কয়েকদিন যাবৎ আবার নতুন করে ঝাঁকিয়ে বসছে করোনা ভাইরাস। তবে তা যে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা করোনার বিলিতি স্ট্রেনের জন্য এমনটা নয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ভারতেই করোনার ৭ হাজার বার মিউটেশন হয়েছে। এখন কোন স্ট্রেন কী সেটা বোঝা সম্ভব নয়। তবে ভয়ঙ্কর ঝুঁকির কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন