ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও এখনই আত্মতুষ্টির কোন কারণ কারণ নেই জানাল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। শনিবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, পুনম ক্ষেত্রপাল সিং জানিয়েছেন, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও দেশ এখনই ঝুঁকির বাইরে নয়। তিনি আরও বলেছেন প্রতিটি দেশবাসীকে আরও বেশি করে সজাগ থাকতে হবে এবং যাবতীয় কোভিড বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই টিকাদান কর্মসূচী চালিয়ে যেতে হবে।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন ভাইরাসের দাপট কিছুটা কমলেও ভাইরাস কিন্তু এখনই নির্মূল হয়ে যায়নি। দেশে কোভিড ১৯ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে সিং জানিয়েছেন “সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও বেশি রয়ে গেছে এবং কোনও দেশ এখনও "সম্পূর্ণ নিরাপদ" নয়, সকলকেই বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যদিও কিছু কিছু অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে তাও আমাদের সব ধরণের সতর্কতা মেনে চলতে হবে"। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "সামগ্রিকভাবে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ এখনও লাগামছাড়া"।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “যে সকল অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ কমেছে সেই সকল অঞ্চলকে ভাইরাল সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য আরও বেশি সাবধানতা মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে”। শনিবার দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৩২ যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটা কম, গত শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২লক্ষ ৫১ হাজার ২০৯।
দেশের করোনা পরিস্থিতির তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে সিং জানান, "দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেকটা বেশি হলেও তা গুরুতর নয়। হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেকটা কম হলেও কয়েকটি রাজ্যে মৃত্যু হার চিন্তা বাড়াচ্ছে। ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকায় প্রথম দিকে হাসপাতালগুলির ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও সামগ্রিক ভাবে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আগের ঢেউয়ের তুলনায় অনেকাংশেই কম"।