ইউক্রেনকে বাগে আনতে না- পেরে রাশিয়া যে কোনও সময় পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে। এই আশঙ্কায় এখন গোটা বিশ্ব। কারণ, রাশিয়া ইতিমধ্যেই তাদের পরমাণু অস্ত্রবাহী বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সক্রিয় করেছে। মস্কো থেকে পরমাণু অস্ত্রবাহী সমরাস্ত্র নিয়ে এসেছে ইউক্রেন সীমান্তে। এই পরিস্থিতিতে ফের নিজেদের গা-জোয়ারি মনোভাব বজায় রাখল মস্কো। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে তাদের যুদ্ধপ্রস্তুতির যাবতীয় দায় চাপাল ব্রিটেনের বিদেশসচিব লিজ ট্রসের ঘাড়ে।
অবশ্য শুধু ট্রসই নন। অন্য যে সব দেশ 'অগ্রহণযোগ্য' মন্তব্য করেছেন, তাদের ওপরও দায় চাপিয়েছে রুশ প্রশাসনের সদর দফতর ক্রেমলিন। এই ব্যাপারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, 'নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন' বা ন্যাটো ইউক্রেন হামলায় অংশগ্রহণ করবে। ইংল্যান্ডের বিদেশ সচিবের এই হুমকির জেরেই তাঁরা পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
কার্যত হুমকির সুরেই দিমিত্রির দাবি, 'এই ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমি কারও নাম বলছি না। তবে, তিনি হচ্ছেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী।' এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে 'অবন্ধুত্বমূলক' এবং 'অবৈধ' বিধিনিষেধে জারির অভিযোগ করেছিলেন। সেই কারণেই তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানকে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই দাবি রাশিয়ার।
তবে, রাশিয়ার এই সব দাবিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি হননি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস। তাঁর পালটা অভিযোগ, ইউক্রেনে যে সব অন্যায় করছে, তা ধামাচাপা দিতেই রাশিয়া এমন সব অভিযোগ করেছে। আসলে, রাশিয়া যে পরমাণু শক্তিধর দেশ, সেটা বোঝানোর জন্যই তারা এই সব কথা বলছে বলেই ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Explained: কাতার বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কৃত রাশিয়া, কেন ইউ-টার্ন নিল FIFA?
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব পালটা জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন জানেন যে তিনি পরমাণু যুদ্ধে জড়ালে পশ্চিমের দেশগুলো তাঁকে সমান অথবা বেশিমাত্রায় জবাব দেবে। পরমাণু অস্ত্র ব্রিটেনকে সুরক্ষিত রেখেছে। পুতিনের হুমকিকেও ব্রিটেন বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়ে রাশিয়া নিজেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই। রাশিয়ার রাস্তাতেও শয়ে শয়ে মানুষ প্রতিদিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব।
Read story in English