জাপানের জলসীমায় বিতর্কিত কুনাসিরি দ্বীপপুঞ্জে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়া। এজন্য জাপানের থেকে কোনও অনুমতিও নেয়নি পুতিনের সরকার। রাশিয়ার দক্ষিণের জলসীমার সঙ্গে জাপানের উত্তর ভাগের জলসীমান্ত সংযুক্ত। রাশিয়া অবশ্য একে কুনাসিরি বলে না। তাদের দাবি এটা কুরিল দ্বীপপুঞ্জ। এখানেই তিন হাজার সেনা এবং কয়েকশো যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে মহড়া চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। জাপানের সঙ্গে এই দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে শান্তি বৈঠক ইতিমধ্যেই রাশিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সমালোচনা করেছে জাপান সরকার। আর, তারপরই দেখা গেল বিনা বাক্যব্যয়ে সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে মহড়া শুরু করে দিল রাশিয়া।
জাপানের যুদ্ধজাহাজগুলো ইতিমধ্যেই গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, আধুনিক বিশ্বে না-বলে সামরিক মহড়াকে আসলে এলাকা দখল হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। ইউক্রেনে হামলা চালানোর আগে এভাবেই ডোনেত্স্ক অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালিয়েছিল মস্কো। শুধু তাই নয়, ভারতের ওপর হামলা চালানোর আগে চিনকেও দেখা গিয়েছিল মহড়ার নামে লাখাদ এবং অরুণাচল সীমান্তে যুদ্ধের সরঞ্জাম-সহ সেনা জড় করতে। আপাতত জাপানের কামচটকা উপদ্বীপ আর জাপানের হোক্কাইডোর মধ্যে এই মহড়া চলছে। কতদিন চলবে, ওখানে মহড়ার নামে রাশিয়া পাকাপাকি ঘাঁটি গেড়ে বসবে কি না, সেসব নিয়ে অবশ্য এখনও মুখ খোলেনি মস্কো।
আরও পড়ুন- আরও তীব্র যুদ্ধের দামামা, সঙ্গীদের মনোবল বাড়াতে পোল্যান্ডে ভাষণ বাইডেনের
জাপানের দাবি, যে অঞ্চলে রাশিয়া মহড়া চালাচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তা জাপানের থেকে সোভিয়েত রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু, পুতিন অথবা তাঁর সরকারকে সেসব বোঝানো হাতিকে গেঞ্জি পরানোর মত ব্যাপার। তাই এখনও পর্যন্ত যত বৈঠক হয়েছে, কোনও ফল বেরোয়নি। আর, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জাপানের অবস্থানের দিকে নজর রেখেছিল মস্কো। ইউক্রেনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জাপান সমালোচনা শুরু করতেই মহড়াও শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। তবে, পরিস্থিতি যাতে আরও ঘোরালো না-হয়ে ওঠে, সেজন্য জাপানের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে, জাপান সরকারের এক সূত্র জানিয়েছে, ওই দ্বীপভূমি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি ছিল। সেই চুক্তি ইতিমধ্যেই রাশিয়া ভঙ্গ করেছে সামরিক মহড়া চালিয়ে।
Read story in English