যুদ্ধের ৩৪তম দিনে কিয়েভ এবং চেরনিহিভে সামরিক কার্যকলাপ ব্যাপকভাবে হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া। মঙ্গলবার তুর্কির রাজধানী শহর ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যস্থকারীরা। সেই বৈঠকের পরই বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিনের উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। আলেকজান্ডার ফোমিন সাংবাদিকদের বলেছেন যে, 'পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর জন্য, আরও আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় পথ খুলতে এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিয়েভ এবং চেরনিহিভে আপাতত সামরিক কার্যকলাপ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।'
এদিকে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে, ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রুশ এবং ইউক্রেনীয় আলোচনাকারীদের শান্তি বৈঠক দ্বিতীয় দিনে গড়াবে না।
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন যে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভের আঞ্চলিক সরকারের সদর দফতরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। ডেনিশ পার্লামেন্টে নিজের বক্তব্য পেশের সময় প্রেসিডেন্ট দাবি করেন যে, মঙ্গলবারের হামলায় ২২ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে তুরস্কে আলোচনার সময় এই হামলার ঘটনা ঘিরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতার মারাত্মক ক্ষয় হয়েছে এবং তাদের হাতে আর একটিও যুদ্ধ বিমান নেই। পাশাপাশি তাঁর দাবি, গত দুই সপ্তাহে ইউক্রেনে প্রায় ৬০০ বিদেশি দুষ্কৃতী নিহত হয়েছে।
এ দিকে ভারত নিজের জোটনিরপেক্ষ অবস্থানে অনড়। চলতি সপ্তাহেই সম্ভবত রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ দিল্লি আসছেন। সূত্রের খবর, তেল এবং সামরিক নানা বিষয়ে দিল্লির সঙ্গে মস্কো সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
Read in English
আরও পড়ুন- টানা যুদ্ধে ধুঁকছে ইউক্রেন, প্রায় শেষ সামরিক শক্তি, দাবি রাশিয়ার