অনেকেই বলছিলেন যে, এবার ইউক্রেনে আগ্রাসণের বহর কমাচ্ছে মস্কো। কিন্তু আদতে যে তা ঠিক নয় তা প্রমাণে মরিয়া রাশিয়া। তাই, ইউক্রেনে লড়াইয়ের জন্য এবার মধ্যপ্রাচ্যের স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাতে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, ইউক্রেনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধাকে পাঠানো হতে পারে।
রাশিয়ার ঘোষণা, যারা স্বেচ্ছায় রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যেতে চায়, তাদের সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে লড়তে প্রস্তুত রয়েছেন।
এর মধ্যেই ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলিকে নিশানা করেছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলে রাশিয়া বিরোধী দেশগুলির সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিচ্ছে। রুশ বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলো কাউন্সিল অব ইউরোপ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এবং ইউরোপের সাধারণ মানবাধিকার ও আইনি পরিস্থিতি ধ্বংস করতে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনে হামলা জারি রয়েছে রাশিয়ার। রাশিয়ান বাহিনী ইউত্কেনের বন্দর শহর মারিউপোল বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। আম নাগরিকদের ওই শহর থেকে বার করতে মানবিক করিডর গঠনের আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেন। এদিকে, শুক্রবার ইউক্রেন থেকে উদ্বাস্তুদের নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি ফ্লাইট নয়াদিল্লিতে অবতরণ করেছে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে, ট্যাঙ্ক এবং সমারস্ট্র সজ্জিত ৬৪ কমি কনভয় পুনরায় মোতায়েন করা হযচ্ছে। শহরের উত্তরে আন্তোনোভ বিমানবন্দরের কাছে সাঁজোয়া ইউনিটগুলি দেখা গিয়েছে।
Read in English