রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে এসে পড়েছে। বর্তমানে পারমানবিক কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রুশ সেনা। রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এমনই জানিয়েছেন। শুক্রবার রাশিয়া ইউক্রেনে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের আকাশে নো-ফ্লাই জোন আরোপে সায় নেই ন্যাটোর। বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্যাপক সমালোচনা করেছেন ন্যাটোর। তাঁর মতে, ''এর ফলে আকাশ থেকে আক্রমণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার হাত পুরোপুরি খুলে দেবে।'' উল্লেখ্য, শুক্রবার ইউক্রেনের আকাশে ন্যাটো নো-ফ্লাই জোন আরোপ করতে অস্বীকার করেছিল। সতর্ক করে ন্যাটো জানায়, এই অবস্থান পরমাণু-সজ্জিত রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপে ব্যাপক যুদ্ধের উদ্রেক করতে পারে।
এদিকে, রাশিয়া শুক্রবারই ফেসবুক এবং অন্যান্য কিছু ওয়েবসাইট সেদেশে বন্ধ করেছে। রাশিয়া একটি আইনও পাশ করেছে। যে আইন মস্কোকে স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে দমননীতি আরোপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী ক্ষমতা দিয়েছে। বিবিসি, ব্লুমবার্গ এবং অন্যান্য বিদেশী মিডিয়াকে রাশিয়ায় রিপোর্টিং বন্ধে সেই আইনটি প্ররোচনা দিতে পারে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
ইউক্রেনের উপর মস্কোর এই আক্রমণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় কোনও দেশের উপর সবচেয়ে বড় আঘাত। বর্তমান পরিস্থিতি ১ মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী তৈরি করেছে। ইউক্রেন জুড়ে হানাদারি কয়েকগুণ বাড়িয়েছে রুশ সেনা। হামলার দ্বিতীয় সপ্তাহে রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের শহরগুলিকে ঘেরাও করেছে। ইউক্রেন-জুড়ে চলছে মুহুর্মুহূ বোমাবর্ষণ।
আরও পড়ুন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চটলেও, ফের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে বিরত ভারত
অন্যদিকে, রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির অধিকাংশই রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেও এখনও নিজেদের অবস্থানেই অনড় রয়েছে ভারত। ইউক্রেনের অবস্থা যাই হোক, রাশিয়ার বিরুদ্ধে থাকবেন না মোদী-শাহরা। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়েছে।
তারপর থেকে বহুবার রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ হয়েছে। কিন্তু, কোনও প্রস্তাবই সমর্থন করেনি ভারত। শুক্রবারও রাশিয়া ইস্যুতে আগের অবস্থানই স্পষ্ট করেছে দিল্লি। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব পেশ হয়। সেই প্রস্তাবেও নিজেদের অবস্থান জানানো থেকে বিরত থেকেছে দিল্লি।
Read story in English